প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৩৪ পিএম
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৫০ পিএম
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি (বাঁয়ে) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ নয়াদিল্লিতে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভারতের আট নাগরিককে বৃহস্পতিবার কাতারের একটি আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। কাতারের এ শাস্তিকে গভীর বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছে ভারত। পাশাপাশি সম্ভাব্য সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও কথা জানিয়েছে দেশটি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সবাই ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। তারা হলেন ভারতের নৌবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বাশিস্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকার পাকালা, নাবিক রাগেশ ও কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক নৌসেনারা কাতারের ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটি কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও স্বল্পপরিসরে কিছু সেবা দিত।
একটি সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি জানায়, ডাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসেসের স্পর্শকাতর বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাবেক ওই নৌসেনারা। ওই বিভাগে সাবমেরিন সম্পর্কিত কার্যক্রম চলত। আর ওই কাজের ফাঁকেই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সময় ধরা পড়েন তারা। তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা ভারতের একটি যুদ্ধজাহাজ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
২০২২ সালের আগস্টে কাতারের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেস তথা গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আটক করে। চলতি বছরে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা কাতারের তথ্য ইসরায়েলে পাচার করছিলেন।
ইসরায়েল-হামাসের চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এ ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ। ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বড় ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।
চলমান সংঘাতে মোদি হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে গাজার জন্য মানবিক ত্রাণ পাঠিয়েছেন।
সূত্র : মিন্ট নিউজ, আরটি