প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১২:৪০ পিএম
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১২:৫৫ পিএম
শশী থারুর।
ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন শশী থারুর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন। এটা নির্বাচনের নিয়ম পরপন্থি এবং সভাপতি নির্বাচনে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
শশী থারুর বলেছেন, তার নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও তাকে অসহযোগিতা করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালানোর সময় সেখানকার সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা তার সঙ্গে সাক্ষাতও করেননি।
কিন্তু ওই স্থানে মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রচারে সর্বক্ষণ সাথে থেকেছেন তারা।
শশীর দাবি অনুযায়ী, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি ছিল না। তারপরও জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী শশী।
তার মতে, দলের নেতা-কর্মীরা পরিবর্তন চাইছে। আর সেই পরিবর্তনের কাণ্ডরী একমাত্র তিনিই।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল থেকে ভোট গণনা নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যালটবক্স এসে পৌঁছে গেছে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে। সেখানেই বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে গণনা। বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করবে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় কংগ্রেসের সদর দপ্তরে উপস্থিত থাকতে পারেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই। যদিও রাহুল গান্ধী এ মুহূর্তে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্মসূচি উপলক্ষে কর্ণাটকে রয়েছেন। সেখানেই একটি অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ভোট দিয়েছিলেন তিনি। গান্ধী পরিবার-ঘনিষ্ঠ তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও দিল্লির সদর দপ্তরে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, গান্ধী পরিবারের প্রস্তাবেই ভোটে লড়ছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভোট-পূর্ববর্তী সমীক্ষা বলছে, তারই জয় নিশ্চিত। তবু চমকের অপেক্ষায় আছেন থারুর। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পথেই কি হাঁটতে চলেছেন তিনি? ৮৪ বছর আগে জাতীয় কংগ্রেসে প্রথম সভাপতি নির্বাচনের সময় মহাত্মা গান্ধীর মনোনীত প্রার্থী পি সীতারামাইয়াকে গোহারা হারিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু।
কংগ্রেসে সভাপতি পদের জন্য সর্বশেষ ভোটাভুটি হয় ২২ বছর আগে। ২০০০ সালে সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সোনিয়া। ২০১৭ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের সভাপতি নির্বাচিত হন রাহুল গান্ধী।
প্রবা/জিজি