প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৩ পিএম
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪৫ পিএম
ওয়াগনারের সাবেক প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। গত মে মাসে ইউক্রেনের বাখমুতে। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার সশস্ত্র প্রাইভেট বাহিনী ওয়াগনারের সাবেক প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনদের বহনকারী জেট বিমানটির ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল। সেটির বিস্ফোরণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জেটটিকে বিধ্বস্ত করা হয়নি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমনটাই জানালেন।
রাশিয়ার পর্যটন শহর সোচিতে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় বৃহস্পতিবার পুতিন বলেন, রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনো বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না, যা ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য।
প্রিগোজিন একসময় পুতিনের বেশ কাছের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও করেন। ওই ঘটনার এক দিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবি ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।
২৩ আগস্ট ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিলেন প্রিগোজিন। পথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
উড়োজাহাজে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিলেন প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এ ছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সবাই নিহত হন।
সূত্র : আলজাজিরা