প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২ ২০:০৪ পিএম
রাশিয়ার পাঠানো ড্রোনের দিকে গুলি ছুড়ছে ইউক্রেনের পুলিশ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) কিয়েভে। ছবি : সংগৃহীত
শীত ঘনিয়ে আসছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। নতুন উদ্যমে ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩০ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া রুশ হামলায় ইউক্রেনের প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে সারা দেশে ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে।
একই বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপপ্রধান কর্মকর্তা কিরিলো টিমোশেঙ্কো বলেন, ‘সারা দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। পুরো দেশকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ভোগান্তি সহ্য করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
ইউক্রেনের জ্বালানি ও অস্ত্র স্থাপনায় হামলার কথা স্বীকার করলেও দেশটির বিদ্যুৎ ও পানির মতো বেসামরিক অবকাঠামোগুলোয় হামলার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, ৮ অক্টোবর ক্রিমিয়া দ্বীপকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে সংযোগকারী কার্চ সেতুতে এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে সেতুটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার দুদিন পর ১০ অক্টোবর রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের নানা শহরে ৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। তদুপরি যুক্ত হয়েছে ড্রোন হামলা। এতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার দাবি, তারা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনের দাবি, ত্রাস ছড়াতে বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
প্রবা/টিএ/তৌহিদ