প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৪৬ পিএম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৬ পিএম
বিশ্বের প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। সংগৃহীত গ্রাফ
বিশ্বে গত জুলাই পর্যন্ত পূর্ববর্তী এক বছরে সশস্ত্র সহিংসতার চিত্র নিয়ে একটি র্যাঙ্কিং করেছে দ্য আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট (অ্যাকলিড) নামের একটা প্রতিষ্ঠান। এতে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ২২তম।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে ২৪০টি দেশ ও অঞ্চলের সংঘাত ও সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ করে এই তালিকা তৈরি করেছে।
তালিকাটি তৈরি করতে চারটি মানদণ্ড বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। মানদণ্ডগুলো হলো—হতাহতের সংখ্যা, ভয়াবহতা বা ঝুঁকি, সহিংসপ্রবণ এলাকার বিস্তার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংখ্যা।
এসব মানদণ্ডেরভিত্তিতে ৫০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে অ্যাকলিড। তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে সিরিয়া, মেক্সিকো, ইউক্রেন ও নাইজেরিয়া। তালিকার ৫০তম ও সর্বশেষ স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ হিসেবে সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশের আগে তথা ২১ নম্বরে রয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। আর বাংলাদেশের পরে ২৩ নম্বরে রয়েছে কেনিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত রয়েছে ১৬ নম্বরে, আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৯।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় বিশ্বে গত এক বছরে সহিংসতা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। বিশ্বের প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্বে যে পরিমাণ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, এর ৯৭ শতাংশই ঘটেছে তালিকায় থাকা ৫০টি দেশে।
অ্যাকলিড সহিংসতাপ্রবণ দেশগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে করেছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো— ‘চরম’, ‘উচ্চ’ ও ‘অস্থির’ সহিংসতাপ্রবণ দেশ। বাংলাদেশ ‘উচ্চ’ সহিংসতাপ্রবণ ক্যাটাগরিতে রয়েছে।
সূত্র : অ্যাকলিড ওয়েবসাইট