প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৬ পিএম
মুহাম্মদ বিন সালমান। ছবি : সংগৃহীত
সৌদি আরব-ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ প্রান্তে পৌঁছেছে। দেশ দুটির শীর্ষ কূটনীতিকদের আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন কিছু শর্ত পূরণ হলেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যে কোনো সময় দেশ দুটির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তিটির ঘোষণা আসতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এসব মন্তব্য করেছেন। কয়েক দিন আগে নেওয়া সাক্ষাৎকারটি বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত হয়েছে।
এমবিএস বলেছেন, আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফিলিস্তিন আমাদের জন্য অন্যতম কেন্দ্রী ইস্যু। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এই পার্টটি শেষ করতে হবে। ফিলিস্তিন বিষয়ে ইসরায়েলকে ছাড় দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং বেসামরিক পারমাণবিক কার্যক্রমে সহায়তা দিতে হবে।
২০২০ সালে ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেন যুক্তরাষ্ট্র, যা আবরাহাম অ্যাকর্ডস নামে পরিচিত। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। এরপর সুদান ও মরক্কোও একই পথে হাঁটে। এখন সৌদি আরবও চুক্তিটিতে সই করতে যাচ্ছে।
সুদূর প্রসারী ফল
ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্থাপনের ফলাফল হবে অত্যন্ত সুদূর প্রসারী। কারণ অর্থনীতি ও অন্য দিক বিবেচনায় সৌদি আরবই এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের নেতা। ওই অঞ্চললে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো মিত্র হলেও সম্প্রতি তা নড়বড়ে হয়ে যায়। এ অবস্থায় ইসরায়েল-সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলে তার প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যকে ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও তার প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য বড় জয় হিসেবে বিবেচিত হবে। এটা বাইডেনকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে সহায়তা করতে পারে।
সূত্র : আল-জাজিরা