প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২৫ পিএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৩ পিএম
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে আজারবাইজানের হামলায় নাগোর্নো-কারাবাখে ২৭ জন নিহত ও আরও প্রায় ২০০ জন আহত হয়। ছবি : সংগৃহীত
আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে নাগোর্নো-কারাবাখ। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়।
মঙ্গলবার নাগোর্নো-কারাবাখে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু করে আজারবাইজান। বুধবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে অন্তত ২৭ জন নিহত ও আরও প্রায় ২০০ জন আহত হয়।
বুধবার ফেসবুকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে নাগোর্নো-কারাবাখের ইনফোসেন্টার জানায়, আমাদের সেনারা আজারবাইজানের বড় ধরনের আগ্রাসন ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শত্রুরা আমাদের সেনাদের পজিশনে ঢুকে পড়ে। তারা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিল না।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কারাবাখের আর্মেনিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের ইয়েভলাখ শহরে বৈঠক হবে। শহরটি কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানী খানকেন্দি থেকে ৬০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। বৈঠকে নাগোর্নো-কারাবাখে আজারবাইজানে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ফের আলোচনা হবে।
নাগোর্নো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের স্বীকৃত অংশ হলেও নিজেদের আর্মেনিয়ার অংশ মনে করেন স্থানীয় বিদ্রোহীরা। এ নিয়ে ১৯৯০ সালে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ হয়েছে।
২০২০ সাল পর্যন্ত নাগোর্নো-কারাবাখ আর্মেনিয়ার দখলে ছিল। কিন্তু এই বছর এক ভয়াবহ যুদ্ধের মাধ্যমে গহিন অরণ্যের ওই বিচ্ছিন্ন অঞ্চল দুটি পুনর্দখল করে আজারবাইজান।
যুদ্ধটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শেষ হয়। এরপর থেকে সেখানে রাশিয়ার শান্তিরক্ষী বাহিনীর সেনারা কাজ করছে। নাগোর্নো-কারাবাখে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বাস করেন।
সূত্র : বিবিসি, আরটি