লিবিয়ায় বন্যা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:১৫ পিএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৬ পিএম
লিবিয়ার দেরনা শহরের মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথির বাসা ১৮ সেপ্টেম্বর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ছবি : সংগৃহীত
লিবিয়ার দেরনা শহরের মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথির বাসা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বন্যা আক্রান্ত বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বন্যার পূর্বাভাস যথাযথভাবে প্রচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন মেয়র। কিন্তু তা তিনি বারবার অস্বীকার করছেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর দেরনায় ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ঘূর্ণিঝড় দানিয়েল আঘাত হানে। এতে দুটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ফলে দেরনার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানির নিচে তলিয়ে যায়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বন্যায় প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ।
তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিখোঁজ প্রায় ১০ হাজার।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড়ের কয়েক দিন আগে থেকে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল। বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আবহাওয়া অধিদপ্তরের তরফে কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলে জানানো হুঁশিয়ারি প্রচারই করেনি তারা। ঝড়সংক্রান্ত একটি পূর্বাভাস ফেসবুকে ছেড়েই দায়িত্ব শেষ করেছে তারা।
জাতিসংঘও একই ধরনের অভিযোগ করেছে।
কিন্তু মেয়র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মেয়র আল-গাইথি বলেছেন, আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। জনগণকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শত শত বিক্ষোভকারী দেরনা শহরের সাহাবা মসজিদে জড়ো হয়। তাদের অনেকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্তের দাবি জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়র আল-গাইথির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় মেয়র ও তার পরিবারের কেউ ওই বাসায় ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্র : বিবিসি