প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:১০ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:২০ পিএম
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষের দেশ জাপান। ছবি : সংগৃহীত
জাপানের প্রতি ১০ জন নাগরিকের মধ্যে একাধিক মানুষের বয়স বর্তমানে ৮০ বা এর বেশি। অর্থাৎ দেশটির মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগের বেশি মানুষ বয়স্ক বা বৃদ্ধ। জাপানে আগে থেকে দ্রুত প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বেশি। চলতি বছর এ সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোয় উদ্বিগ্ন জাপান সরকার।
সোমবার জাপানের ‘রেসপেক্ট ফর এজ ডে/প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জাতীয় ছুটির দিন’-এ প্রকাশিত সরকারি তথ্যমতে, বর্তমানে দেশটিতে শতকরা ২৯ দশমিক ১ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৬৫ বছরের বেশি; যা বিশ্বে রেকর্ড।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, সবচেয়ে বয়স্ক নাগরিকের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে এ হার ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ। আর তৃতীয় অবস্থানের ফিনল্যান্ডে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৬৫ বছরের বেশি।
জাপানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কয়েক দশক ধরে দেশটিতে জনসংখ্যা কমে আসছে। তরুণ বা যুব সমাজের চেয়ে বয়স্কের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তরুণরা বিয়ে করছে দেরিতে। বিয়ে করলেও সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে। সন্তান নিতে অনীহা থাকা এ জনসংখ্যা দ্রুত ৭৫ বছর বা তারও বেশি বয়সি জনসংখ্যায় পরিণত হচ্ছে।
জাপানে বর্তমানে জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৪ লাখ। তার মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজারের বয়স ৮০ বছর বা এর বেশি। এ ছাড়া ২ কোটি মানুষের বয়স ৭৫ বছর বা এর বেশি।
গত বছর জাপানের জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা ৮ লাখের কম; এও জাপানের জন্মহার কমে যাওয়ার আরেকটি রেকর্ড। কারণ দেশটিতে ১৯৭০ সালে জন্ম নিয়েছিল ২০ লাখের বেশি শিশু। ১৯ শতকে রেকর্ড জন্মহার বৃদ্ধির পর গত বছর তা কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়।
দেশটির জাতীয় জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের ৬৫ বছর বা এর বয়সি নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৪ দশমি ৮ শতাংশে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাপানে চাকরি ক্ষেত্র অস্থিতিশীল ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তরুণরা বিয়ে করছে দেরিতে। তারা বিয়ে করলেও সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে অনীহা। প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের দেখভাল খাতে খরচও ফুলে ফেঁপে উঠছে। তরুণসমাজ বিভিন্ন সামাজিক খরচ এবং জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিতে ব্যয়ও করতে পারছে না। ফলে প্রবীণ শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে জাপানকে।