বিবিসির মন্তব্য প্রতিবেদন
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২২ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন (বাঁয়ে) ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১৩ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ভোস্টোচনি কসমোড্রোমে। ছবি : এএফপি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের আমুর অঞ্চলের বন্দরনগরী ভোস্টোচনিনে বুধবার একান্তে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার একজন নভোচারীকে মহাশূন্যে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। আর কিমের উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পুতিন।
বৈঠকে পশ্চিমাদের রোষানলে থাকা এই দুই নেতা কী কী চুক্তি করেছেন তার বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। তা অতিগোপন রাখা হয়েছে।
তবে তারা অস্ত্র বিনিময় চুক্তি করেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধরনের চুক্তি জাতিসংঘ চার্টারের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানও এই ধরনের চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
উপায়হীন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধ অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। সেই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। আর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ নেয় তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া। অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মৈত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্রতা ৭০ বছরের পুরোনো।
বিবিসির এক বিশ্লেষণে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে এশিয়া-প্যাসিফিকে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে হলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে হবে। তা ছাড়া নতুন চীনকে আটকাতে হলেও এটা একান্ত জরুরি।
কিন্তু বারাক ওবামা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সবকটা প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তা সম্ভব হয়নি। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির বড় ব্যর্থতা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিসের উত্তর-পূর্ব এশীয় বিশেষজ্ঞ ফ্যাঙ্ক আউম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ বারবার বলছে তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। বাইডেনও সে রকম ইঙ্গিত দিচ্ছেন। কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে না কেন?
এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, উভয়পক্ষ একাধিক ভুল করেছে। একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছে। সাত দশকে তা জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। আমার মনে হয়, ইচ্ছা থাকলেও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কীভাবে আলোচনায় বসতে হবে সেই পথ খুঁজে পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওয়াশিংটনকে তা পেতেই হবে।
সূত্র : বিবিসি, এএফপি