প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩০ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম
কেরালায় বুধবার পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ৭৮৯ জনকে আলাদা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। প্রতীকী ছবি
ভারতের কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ। এ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ৭৮৯ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে যে ধরনটি শনাক্ত হয়েছে, সেটা ইতঃপূর্বে বাংলাদেশে শনাক্ত ধরনের অনুরূপ। এই ধরনের আক্রান্তদের মৃত্যু হার বেশি হলে এটা এতটা দ্রুত ছড়াতে পারে না। তবে এ ধরনটি মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।
শনাক্ত পাঁচজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আক্রন্তদের একজন শিশু। তার অবস্থা গুরুতর। বুধবার বিকালে নতুন যে নার্সের নিপাহ শনাক্ত হয়েছে তিনিসহ আক্রান্ত সবাই কেরালার কোঝিকোড়ে জেলার।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোঝিকোড়ে জেলার সাতটি গ্রামে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল ও ব্যাংকসহ দোকান-পাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, নিপা ভাইরাসে আক্রন্ত ব্যক্তিদের আলাদা করা হচ্ছে। তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। যারা শুরুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা কাদের সঙ্গে মিশেছে বা কোথায় থেকে এসেছে তা শনাক্তের কাজ চলছে। তা ছাড়া এবারের ভাইরাসের ধরন নিয়ে ইতোমধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৮ সালে কেরালায় সর্বপ্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এবার নিয়ে রাজ্যটিতে চারবার এ দুর্লভ ও মস্তিষ্ক ধ্বংসকারী ভাইরাসটি শনাক্ত হলো। ২০১৯ ও ২০২১ সালেও নিপাহ ভাইরাসে কেরালায় দুই ব্যক্তি মারা গিয়েছিল।
বন ধ্বংস ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে ভারতের রাজ্যটি বাদুড় থেকে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য অনুকূল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আক্রান্ত শূকর, বাদুড় বা মানুষের সরাসরি সংস্পর্শ থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায়। বিশেষ করে আক্রান্ত পশু-পাখি বা মানুষের লালা বা তরল থেকে এটা সহজে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর আসে। বমি বমি ভাব হয়।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৯৯ সালে সর্বপ্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। আক্রান্ত শূকরের সংস্পর্শ থেকে তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল।
সূত্র : রয়টার্স, স্ক্রলডটইন