প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৫ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৮ এএম
কিম জং উনকে বরণ করে নিচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ১৩ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের আমুর অঞ্চলের ভোস্টোচনি কসমোড্রোমে। ছবি : সংগৃহীত
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের আমুর অঞ্চলের বন্দরনগরী ভোস্টোচনিনে একান্তে বৈঠক শুরু করেছেন। বুধবার সকালে নগরীর মহাশূন্য স্টেশন কসমোড্রোমে কিমকে স্বাগত জানান পুতিন। এরপর তারা সেখানকার বৈঠকরুমে চলে যান।
পুতিনের দপ্তর ক্রেমলিন বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা কিমকে বরণ করে নেওয়ার একটা সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে।
দুই দিন আগে সোমবার ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দূরপ্রাচ্যের শহর ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছান পুতিন। আর মঙ্গলবার একটি প্রাইভেট সাঁজোয়া ট্রেনে করে একই শহরে পৌঁছান কিম।
ভোস্টোচনি কসমোড্রোমে হ্যান্ডশেক করতে করতে কিমকে পুতিন বলেন, আপনাকে দেখে আমার বেশ ভালো লাগছে। জবাবে কিম বলেন, রাশিয়ায় আসতে পেরে আমার দারুণ লাগছে। আপনাদের আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ।
উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উপলক্ষে কিমকে প্রতীকীভাবে রাশিয়ায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। চলতি বছর একই সঙ্গে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে।
তা ছাড়া অমীমাংসিত কোরিয়া যুদ্ধের ৭০ বছরও এ বছর পূর্ণ হবে। এ যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান নিয়েছিল। আর উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন।
অস্ত্রচুক্তির ‘শঙ্কা’
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা ১৮ মাস পার করছে। যুদ্ধে বিপুল গোলাবারুদ নিঃশেষ হওয়ায় রাশিয়া উত্তর কোরিয়াসহ বন্ধু দেশগুলো থেকে অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে বলে মনে করেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা। বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে খাদ্যসহায়তা ও অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করতে পারে।
উত্তর কোরিয়া রাশিায়াকে গোলাবারুদ সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।
রাশিয়ার জবাব
মস্কো বারবার বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার বলেছেন, রাশিয়া তার অন্য প্রতিবেশীর মতো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও সব ধরনের সম্পর্ক বাড়াতে চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে ওয়াশিংটনের হুমকি নয়, দুই দেশের সম্পর্কই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : আরটি