প্রবা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১২:০০ পিএম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৮:১৩ পিএম
ভিডিওচিত্রে এভিন কারাগার থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক বন্দি, সাংবাদিক ও বিদেশি নাগরিকদের আটক রাখার জন্য ইরানের কুখ্যাত ইভিন কারাগারে শনিবার (১৫ অক্টোবর) একটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বিস্ফোরণ থেকে ওই অগ্নিকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, ওই অগ্নিকাণ্ডে চার জন নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওগুলোয় কারাগারের ভেতরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে এবং গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে আগুন জ্বলছে।
বিবিসির রানা রহিমপুর বলেছেন, কারাগারের পরিস্থিতি সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সঙ্গে যুক্ত কি না তা এখনো জানা যায়নি।
তিনি বলেন, শত শত বিক্ষোভকারীকে ইভিনে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারের ভেতর থেকে কথা বলতে গিয়ে তেহরানের গভর্নর রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, কারাগারটির একটি শাখায় আবাসস্থলে দাঙ্গা হয়েছে এবং এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত।
ইরনার শেয়ার করা ছবিগুলোয় আগুনের পরে কারাগারের ভেতরের ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আগুন ও ধোঁয়ার ফুটেজ প্রথম শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়।
সেসব ভিডিওতে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল এবং অন্যগুলোয় কারাগারের বাইরে লোকজনকে ‘স্বৈরশাসকের মৃত্যু’ বলে স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বিবিসি ফারসি সংস্করণ অনুসারে, একটি ভিডিওতে কারাগারের পরিধির বাইরে থেকে বস্তুগুলোকে দেখানো হয়েছে এবং তারপর একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ওই ঘটনার পর কারাগারের বাইরে ব্যাপক লোকজন জড়ো হয়, যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে এবং দাঙ্গাপুলিশকে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
বিবিসি তেহরান প্রতিনিধি কাসরা নাজি বলেছেন, ইরানি মিডিয়া দাবি করার পরও কারাগারের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়।
অন্যান্য ছবিতে কারাগারের একটি অংশের ছাদে বন্দিদের দেখানো হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক বন্দি এবং গত চার সপ্তাহে গ্রেপ্তার অনেক বিক্ষোভকারীকে রাখা হয়েছে।
কিছু বন্দির পরিবার বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। কারণ, কারাগারের চারপাশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ইরান কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থবির হয়ে আছে।
গত মাসে পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সি কুর্দি ইরানি মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্রবা/জিজি/জেও