প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:১৯ পিএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:২৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ করলেন ভারতে বসবাসকারী তিব্বতিদের কয়েকটি সংগঠন। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের ভারত সফরের প্রতিবাদ এবং তিব্বতকে স্বাধীন করে দেওয়ার দাবিতে তারা এই বিক্ষোভ করেছেন। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিল্লির ‘মজনু কাটিলা’ এলাকায় পোস্টার-ব্যানার নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেন তারা।
তিব্বতি সংগঠন তিব্বত যুব কংগ্রেসের সভাপতি গুংডু থোন্ডুপ বলেন, ‘জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো প্রতিবাদ নেই। আমাদের প্রতিবাদ তিব্বতের অবৈধ দখলদার চীনের প্রতিনিধির জি২০-তে যোগদানের বিরুদ্ধে।’ অধিকৃত তিব্বতে এখনও ধারাবাহিকভাবে চীনা সেনা নিপীড়ন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিব্বতে চীনা দখলদারির পরে ১৯৫৯ সালের ৩০ মার্চ তাওয়াং প্রবেশ করেছিলেন চতুর্দশ দলাই লামা। তার সঙ্গেই ভারতে এসেছিলেন কয়েক হাজার তিব্বতি শরণার্থী। ১৯৫১ সাল থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসিত তিব্বতিদের সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলাই লামা। কিন্তু বারবারই তিব্বতের স্বায়ত্তশাসনের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে চীন। শুধু ভারতে নয় পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে, তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রতিবাদ জারি রেখেছে তিব্বতিরা।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ না দিলেও নিজ দেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত বৃহস্পতিবার তাকে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাদুর্গত একটি গ্রামীণ এলাকায় ঘরবাড়ি পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার জিনপিং লংওয়াংমিয়াও গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। তাদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের নিত্যদিনের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঠিক আছে কি না, তা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
লংওয়াংমিয়াওয়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে জিনপিং জানান, তিনি দুর্গত এলাকাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘চীনের জনসাধারণ যখন কোনো বিপদের মুখে পড়ে, তখন আমাদের সমাজতন্ত্রের ধারণাগুলোর পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে। আর তা হলো, যখন একটি দল সমস্যায় পড়ে, তখন সব দল একে সহযোগিতা করবে। দেশের পক্ষ থেকে পুরোপুরি সহযোগিতা তারা পাবে।’ সূত্র : দ্য হিন্দু, এএফপি ও আনন্দবাজার পত্রিকা