× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

যৌথ ঘোষণার সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন : ইইউ প্রতিনিধি

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪০ পিএম

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪২ পিএম

নয়াদিল্লির মৌর্য হোটেলের বাহিরের অংশ জি-২০ এর এবারের থিম দিয়ে সাজানো হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর তোলা। ছবি : সংগৃহীত

নয়াদিল্লির মৌর্য হোটেলের বাহিরের অংশ জি-২০ এর এবারের থিম দিয়ে সাজানো হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর তোলা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০-এর দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে শক্তিশালী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকায় এবারের সম্মেলন থেকে একটি যৌথ ঘোষণা আসবে কিনা, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যৌথ ঘোষণার সম্ভাবনা নিয়ে কিছুটা শঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। 

দিল্লিতে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান মিশেল বলেন, একটি যৌথ ঘোষণা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া বেশ কঠিন। এখনো দর কষাকষি চলছে। এ অবস্থায় আমি এমন কিছু বলতে চাই না, যা যৌথ ঘোষণার চেষ্টাকে ব্যহত করে। আমরা ভারতের চেষ্টার পাশে রয়েছি। 

সমস্যার নেপথ্যে

যৌথ ইশতেহার প্রকাশ না হওয়ার শঙ্কার মূলে রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ যুদ্ধ নিয়ে ইশতেহারে কী ধরনের কথা থাকবে, তা নিয়ে পশ্চিমা দেশ এবং রাশিয়া-চীনের মধ্যে মৌলিক মতবিরোধ রয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চায় ইশতেহারে রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার কঠিন সমালোচনা করা হোক এবং ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সব রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হোক। 

অন্যদিকে রাশিয়া চায়, ইশতেহারে তাদের অবস্থানের প্রতিফলন থাকতে হবে। এ রকম না থাকলে তারা যৌথ ইশতেহারে সই করবে না। ১ সেপ্টেম্বর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এটা স্পষ্ট করে বলেছেন। 

অন্যদিকে চীনের দাবি ইশতেহারে ভূরাজনৈতিক কোনো বিষয় থাকা চলবে না। কারণ জি-২০ অর্থনীতিবিষয়ক জোট। এতে অর্থনীতিবিষয়ক এজেন্ডার কথাই শুধু থাকবে।

অনমনীয় রাশিয়া

ইউক্রেন হামলার পর গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০-এর সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখনও যৌথ ইশতেহার নিয়ে বেশ হইচই হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন হামলার মৃদু সমালোচনা মেনে নিতে সম্মত হয় মস্কো। ফলে বাদ পড়তে পড়তেও তখন যৌথ ইশতেহার সম্ভব হয়। 

তার আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয়। তখনও জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে যৌথ ইশতেহার নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা-ও সম্ভব হয়েছিল। 

কিন্তু ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইশতেহারে যুদ্ধের প্রকৃত পটভূমি থাকতে হবে। 

দিল্লি কী বলে

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর গত দুয়েক মাসে যৌথ ইশতেহার নিয়ে বেশ কয়েকবার মন্তব্য করেছেন। সর্বশেষ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের এক গণামধ্যমকে জয়শঙ্কর বলেন, ’এবারের সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট থাকছেন না। তার পরিবর্তে দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এতে করে আমাদের যৌথ ইশতেহার ঘোষণায় কোনো সমস্যা হবে না।’ 

বিশেষজ্ঞদের মত

এবারের সম্মেলনে যৌথ ইশতেহার বিষয়ে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ট্রিস্টান নেইলর বলেন, ’যৌথ ইশতেহার নিয়ে ভারতের বিশেষ কিছু করার নেই। কারণ জোটের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের মতো কিছু মৌলিক বিষয়ে একমত হতে পারছে না।’ 

যৌথ ঘোষণা কেন জরুরি

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জি-২০-এর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সব শীর্ষ সম্মেলনের শেষের দিন একটি যৌথ ঘোষণা এসেছে। এটা আয়োজক দেশের সক্ষমতাকে নির্দেশ করে। জি-২০ এর মতো শক্তিশালী কোনো জোট শীর্ষ বৈঠক থেকে একটা যৌথ ঘোষণার ব্যবস্থা করতে না পারলে তা সেই দেশের কূটনৈতিক ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেয়। ভারত এ ধরনের ব্যর্থতায় নাম লেখাতে কোনো মতেই চাইবে না। 

সূত্র : রয়টার্স, স্ক্রলডটইন, আলজাজিরা




শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা