প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৪২ পিএম
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ নৌবহরে বড় ধরনের হামলা পরমাণু যুদ্ধের সূচনা করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত
ক্রিমিয়াতে রুশ নৌবহরে বড় ধরনের হামলা চালাতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে চেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু এতে করে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এমন একটা শঙ্কা থেকে ক্রিমিয়ার আশেপাশে নিজের মালিকানাধীন স্টারলিংকের সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
ইলন মাস্কের প্রকাশ হতে যাওয়া একটি জীবনীতে এমনটি দাবি করা হয়েছে। বইটি লিখিছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জীবনী লেখক ওয়াল্টার আইজ্যাকসন। আগামী সপ্তাহে বইটি বাজারে আসবে। বইটার একটা অংশ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সিএনএনে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাস্ক আইজ্যাকসনকে বলেন, এই যুদ্ধে আমার ভূমিকাটা কী? যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ভূমিকা রাখার জন্য স্টারলিংক দেওয়া হয়নি। এটা দেওয়া হয়েছে যাতে যুদ্ধকালে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ নেটফ্লিক্স দেখতে পারে, কিছুটা আনন্দে সময় কাটাতে পারে, বাচ্চারা ঘরে বসে স্কুলের পাঠ নিতে পারে। এটা তো ড্রোন হামলা চালানোর জন্য দেওয়া হয়নি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রুশ হামলার পর থেকে ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি স্টারলিংক টার্মিনাল দিয়েছে ইলন মাস্ক। বেসামরিক উদ্দেশ্যে এসব স্যাটেলাইট দেওয়া হলেও তা দ্রুত সামরিক কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে ইউক্রেন।
স্টারলিংকের তথ্য ব্যবহার করে ক্রিমিয়া উপকূলে ইউক্রেনের ব্যর্থ সামুদ্রিক ড্রোন হামলা নিয়ে প্রথম প্রতিবেদনটি করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। গত জুলাইয়ে টাইমসের করা সেই প্রতিবেদনে কেন সেই হামলাচেষ্টা ব্যর্থ হয় তা কিন্তু প্রকাশ করা হয়নি।
মাস্কের জীবনীতে আইজ্যাকসন লেখেন, রুশ নৌবহরে বড় ধরনের হামলা হলে ‘মিনি-পার্ল হার্বাল’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমন শঙ্কা থেকে মাস্ক ব্যক্তিগতভাবে নিজে ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দেন, তারা যেন ক্রিমিয়া উপদ্বীপের নিকটবর্তী স্টারলিংকের সব সিগন্যাল বন্ধ রাখে। ফলে ইউক্রেনের পাঠানো অসংখ্য সামুদ্রিক ড্রোন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তা লক্ষ্যে আঘাত না হেনে উপকূলে ভেসে ওঠে।
ক্রিমিয়াতে হামলাচেষ্টার পর মাস্ক পেন্টাগণকে জানায়, তিনি ইউক্রেনে আর স্টারলিংক সেবা দেবেন না। অবশ্য, সিএনএন এই খবর প্রকাশ করার পর প্রকাশ্যে মাস্ক তা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে মাস্ক ইউক্রেনকে আরও প্রায় এক লাখ স্যাটেলাইট টার্মিনাল দিতে সম্মত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এসব টার্মিনালের ব্যয় বহন করছে।
সূত্র : রয়টার্স, গার্ডিয়ান, আরটি