প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৬ পিএম
ইরাকি বিক্ষোভকারীরা কিরকুকে বিক্ষোভের পরে একটি রাস্তা অবরোধ করেছে। ছবি : সংগৃহীত
ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কিরকুক শহরে তিন
কুর্দি বিক্ষোভকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৪ জন। পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে শহরটিতে কারফিউ জারি করেছে সরকার।
স্থানীয় পুলিশ বাহিনী এসব তথ্য নিশ্চিত
করে জানায়, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) কুর্দি ও আরব বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সেখানে সংঘর্ষের সময় হঠাৎ করেই গুলি চালায় কয়েকজন। যারা গুলি চালিয়েছে তাদের নাম ও
পরিচয় জানা যায়নি। তবে তাদের শনাক্ত করার জন্য তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, বিরোধটির সূত্রপাত হয় কিরকুকের একটি ভবনকে কেন্দ্র করে। ভবনটি একসময় কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির
(কেডিপি) সদর দপ্তর ছিল। তবে ভবনটিকে বর্তমানে ইরাকি সেনাবাহিনী নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে
ব্যবহার করছে।
কিন্তু সম্প্রতি ইরাকের কেন্দ্রীয়
সরকার কেডিপিকে ভবনটি ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে
নিতে পারেনি আরব ও তুর্কমেন বিরোধীরা। ফলে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা গত সপ্তাহে
ওই ভবনের বাইরে একটি শিবির স্থাপন করে। পরে কুর্দি বিক্ষোভকারীদের একটি দল শনিবার ক্যাম্পের কাছে যাওয়ার
সঙ্গে সঙ্গেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল
সুদানি সহিংসতা বন্ধের উদ্দেশে শহরে কারফিউ জারি করার নির্দেশ দেন। কারফিউ’র পাশাপাশি
রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায়
এগিয়ে আসার জন্য আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে, সুদানি গত বছর ক্ষমতায় আসার
পর থেকে তার সরকার ও কেডিপির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন। তবে আরব বাসিন্দা
ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের দাবি যে তাদের কুর্দি শাসনের অধীনে অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে
হয়। আর এজন্যই তারা কেডিপির ফিরে আসার প্রতিবাদ করেছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : রয়টার্স