কঙ্গোয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনবিরোধী বিক্ষোভ, নিহত বেড়ে ৪০

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৪০ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ জন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কঙ্গোর গোমা শহরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী বিষয়টি জানিয়েছে।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। 

২০২২ সাল থেকে জাতিসংঘের মনুস্কো মিশন দেশটির নাগরিকদের বাধার সম্মুখীন হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ তুলেছে, শান্তিরক্ষীরা বহু বছরের মিলিশিয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা বুধবারের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোয় দেখা যায়, বেসামরিক পোশাকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারী ও পুরুষরা লাঠি ও পাথর দিয়ে একজন পুলিশকে মাটিতে ফেলে হত্যা করেছে।

সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, সহিংসতায় অংশ নেওয়া ১৫৮ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোমায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের স্থানীয় শাখার প্রধান অ্যান-সিলভি লিন্ডার জানান, বিক্ষোভের পর তার ক্লিনিকে গুরুতর ছুরিকাঘাত ও গুলিবিদ্ধ আহতের সংখ্যা বেশি ছিল।

কঙ্গোয় জাতিসংঘের মনুস্কো নামে শান্তিরক্ষা মিশন একটি বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে। আর তারা সহিংসতার হুমকিতে উদ্বিগ্ন।

এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মনুস্কোবিরোধী বিক্ষোভের ফলে গোমা ও বুটেম্বো শহরে ১৫-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তিনজন শান্তিরক্ষী সদস্য।

দীর্ঘ বছর ধরে চলা বিদ্রোহী সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে মানবিক সংকট ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে, উত্তর কিভু ও পাশের প্রদেশগুলোয় প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স