প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫৭ এএম
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩ ১০:৪৩ এএম
হামলায় কঙ্গোর এক সেনাও নিহত হয়েছেন। ছবি : সংগৃহীত
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে রবিবার (২৭ আগস্ট) গির্জায়
প্রার্থনারতদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতের মধ্যে নয়জন বেসামরিক নাগরিক, একজন সেনা ও চারজন খোদ হামলাকারী।
ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির পূর্ব কঙ্গোলিজ প্রদেশের ইতুরি অঞ্চলে। সোমবার স্থানীয় কর্মকর্তা ডজুগু অঞ্চলের প্রশাসক রুফিন মাপেলা ও নাগরিক সমাজের নেতা ডিউডোন
লোসা হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ দুজনই হামলার জন্য দ্য কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গোকে
(কোডেকো) দায়ী করেছেন। লোসা বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা
প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোডেকো হিসেবে চিহ্নিত মিলিশিয়ারা
তাদের ওপর গুলি চালায়।’
মাপেলা জানিয়েছেন, উগ্রপন্থিরা বাহেমা-নর্ড চিফডমে লেক
অ্যালবার্টের তীরে অবস্থিত মেসা, সেপ্যাক ও অমোপ্রো নামের গির্জাগুলোয় হামলা চালায়।
এ ঘটনায় ইতুরির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি বলেছেন,
‘আমরা জনগণকে
শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সশস্ত্র বাহিনী অপরাধীদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে
রাখতে কাজ করছে।’
কোডেকো লেন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে বলে দাবি করে আসছে। এ সম্প্রদায়টি মূলত কৃষিজীবী। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই হেমা সম্প্রদায়ের বিরোধ রয়েছে। এ সম্প্রদায়ের লোকজন আবার পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মতে, ইতুরি প্রদেশে এমনিতেই মানবিক সংকট চলছে। কোডেকোর কর্মকাণ্ড সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে।
সূত্র : রয়টার্স