প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১৭:১৪ পিএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১০ পিএম
প্রাইভেট মিলিটারি গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ছবি : সংগৃৃহীত
বিমান ‘দুর্ঘটনায়’ নিহতদের জেনেটিক বিশ্লেষণের পর প্রাইভেট মিলিটারি গ্রুপ ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে মস্কো।
রবিবার (২৭ আগস্ট) রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২৩ আগস্ট মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবুর্গে যাওয়ার পথে রাশিয়ার টিভের অঞ্চলে একটি জেট বিধ্বস্ত হয়। এতে সাত যাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের তালিকায় নাম ছিল প্রিগোজিনের। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি বিমানে উঠেছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তবে ধারণা করা হচ্ছিল, প্রিগোজিনসহ সবাই নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর পেছনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছিল। তবে ক্রেমলিন তা অস্বীকার করে তদন্ত করার কথা বলে আসছে।
এক বিবৃতিতে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, নিহত ১০ জনের জেনেটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষায় সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের নাম-পরিচয় বিধ্বস্ত জেটের যাত্রী তালিকার সঙ্গে মিলে যায়।
গত বুধবার বিমান দুর্ঘটনার ঠিক দুই মাস আগে ২৩ জুন রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। তারা দক্ষিণ রাশিয়ার প্রধান সামরিক কার্যালয় রোস্তভ-অন-ডন দখল করে নিয়েছিলেন। ওয়াগনারের আরেকটি অংশ রাজধানী মস্কোর দিকে এগুতে শুরু করেছিল।
এ ঘটনাকে সুস্পষ্ট দেশদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করেন পুতিন। প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সহায়তায় প্রিগোজিন ও রুশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মীমাংসা হয়। এই প্রেক্ষাপটে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
পরে ওয়াগনারের সেনাদের বড় একটি অংশ রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। অনেকে চাকরি ছেড়ে দেয়। আরেকটি অংশ নিয়ে বেলারুশ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেন প্রিগোজিন।
জেট ‘দুর্ঘটনার’ দুয়েকদিন আগে আফ্রিকা থেকে রাশিয়ায় ফেরেন প্রিগোজিন। সেখানে ভাড়াটে সেনা পরিচালনার পাশাপাশি তেল-গ্যাস, হীরা ও অন্য মূলবান পাথরের ব্যবসা করতেন তিনি।