প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৩৬ পিএম
সবশেষ প্রকাশিত ভিডিওতে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। ছবি : সংগ্রহীত
রাশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ‘নিহতের’ ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ ইস্যুতে চুপ রয়েছেন। এমনকি বিধ্বস্ত বিমানের ১০ যাত্রীর মধ্যে ওয়াগনার প্রধান ছিলেন কি না, তাও নিশ্চিত করা হয়নি রাশিয়ার পক্ষ থেকে।
দেশটির তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে বিমান দুর্ঘটনা খতিয়ে দেখতে ফৌজদারি
মামলার কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্ত দলের মুখপাত্র সেভলানা পেত্রেঙ্কো জানিয়েছেন, তদন্ত
দল এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব ফরেনসিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে।
এদিকে বিবিসি মনিটরিংয়ের রাশিয়া সম্পাদক ভিতালি শেভচেঙ্কো জানিয়েছেন,
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন -তারা দুইটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। তাদের ধারণা আকাশেই এটিকে
গুলি করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কেবল অনুমান নির্ভর।
বিমান দুর্ঘটনার শিকার হোক বা তাকে ধ্বংস করা হোক। এর মাধ্যমে কার্যত
নেতৃত্বহীন হয়ে পড়েছে ওয়াগনার।
রুশ কর্তৃপক্ষ বিমানের যাত্রী তালিকায় যাদের নাম প্রকাশ করেছে তারা
সবাই প্রিগোজিনের ঘনিষ্ঠ। এদের মধ্যে ছিলেন ওয়াগনার প্রধানের ডান হাত খ্যাত দিমিত্রি
উৎকিন। প্রিগোজিনের বন্ধু ভ্যালেরি চেকালভ, যিনি ওয়াগনারের লজিস্টিক সংক্রান্ত বিষয়াদি
দেখভাল করতেন। তিনি আবার ইভ্রোপলিস কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। এই কোম্পানিটি সিরিয়াতে
তেলের চালান সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো নিয়ে কাজ করত। ওয়াগনার যোদ্ধাদের বেতন ও অস্ত্র
সংক্রান্ত বিষয় ছিল তার তত্ত্বাবধানে। চেকালভের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাও ছিল।
বিমানের আরেক যাত্রী ছিলেন ইয়েভজেনি মাকারাইয়ান। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা
ওয়াগনারে যোগ দেন ২০১৬ সালে। তিনি এই বাহিনীর হয়ে লড়েছেন সিরিয়াতে। এ ছাড়া আরও যারা
ছিলেন তারা প্রায় সবাই ওয়াগনারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
সূত্র : বিবিসি