প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩ ১০:৩৬ এএম
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩ ১১:১৮ এএম
ভিডিওবার্তায় ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ায় ব্যর্থ অভ্যুত্থান-চেষ্টা চালানোর পর এই প্রথমবার ভিডিওবার্তা
নিয়ে হাজির হয়েছেন ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। প্রকাশিত সেই ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড
দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি এই ভিডিওধারণের সময় আফ্রিকায় ছিলেন। যদিও তা নিশ্চিত হওয়া
যায়নি।
ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোয় প্রকাশিত
ভিডিওটিতে ওয়াগনারপ্রধানকে কমব্যাট গিয়ারেই দেখা গেছে। তিনি ভিডিওতে দাবি করেছেন,
গ্রুপটি আফ্রিকাকে আরও মুক্ত করে তুলছে।
ভিডিওতে প্রিগোজিন আরও দাবি করেছেন, তার বাহিনীর সদস্যরা ইসলামপন্থি জঙ্গি ও অন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পাশাপাশি খনিজ অনুসন্ধানেও কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার ও সুখ—আফ্রিকার জনগণের
জন্য, আমরা আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট), আল-কায়েদা ও অন্য দস্যুদের জীবন দুঃস্বপ্নে
পরিণত করছি।’
তার মতে, আফ্রিকায় ওয়াগনারের কার্যক্রম রাশিয়াকে বিশ্বদরবারে আরও
বড় করে এবং আফ্রিকাকে আরও মুক্ত করে তুলছে।
ধারণা করা হয়, আফ্রিকা মহাদেশে ওয়াগনারের হাজার হাজার যোদ্ধা আছে।
সেখানে গোষ্ঠীটির লাভজনক ব্যবসায়িক স্বার্থও রয়েছে। বিশেষ করে প্রিগোজিনের সেনারা মালি
ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে বেশি অবস্থান করছে। এ দুই দেশের বর্তমান সামরিক জান্তাদের
ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ওয়াগনারের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করে থাকে পশ্চিমারা।
সম্প্রতি নাইজারে হওয়া অভ্যুত্থানেও জড়িত সেনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে
মালিতে কথা বলেছে ওয়াগনার।
আফ্রিকা মহাদেশে ওয়াগনারের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে মনে করা হয়, যেখানে তার লাভজনক ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে বলেছে, ওয়াগনার যোদ্ধারা আফ্রিকায় অবৈধ সোনার লেনদেনে যুক্ত থাকার মাধ্যমে নিজেরা ধনী হচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি