প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৭ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
ইউক্রেনের হাতে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার সিদ্ধান্ত সংঘাতকে আরও বৃদ্ধি করবে বলে সোমবার (২১ আগস্ট) জানিয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন বলছে, যুদ্ধবিমানগুলো মস্কোর অনুপ্রবেশের ইতি টানতে সহায়তা করবে তাদের।
ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস রবিবার জানায়, ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নতুন বছর নাগাদ প্রাথমিকভাবে ছয়টি দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ওই সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে।
রাশিয়ার দূত ভ্লাদিমির বারবিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ’ডেনমার্ক ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সংঘাত বৃদ্ধি করবে।’
কিয়েভ বলছে, যুদ্ধবিমানের জেরে রাশিয়ার বাহিনীকে তাদের অঞ্চল থেকে দূর করা সহজ হবে। জুনের শুরু থেকেই ধীরগতিতে চলছে পাল্টা আক্রমণ। যুদ্ধবিমান পাওয়ার ফলে রাশিয়ার বিমানবাহিনীকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অগ্রসরের পথ আটকে দেওয়া থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
ইউক্রেনের গণমাধ্যমে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাট বলেছেন, আকাশে কর্তৃত্ব অর্জন ভূমিতে সফলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডেনমার্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জ্যাকব এলেমান-জেনসেন বলেছেন, ইউক্রেন শুধু নিজ ভূখণ্ডের মধ্যেই দান করা এফ-১৬ ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অস্ত্র দিয়েছিই ওই শর্তে যে তারা সেগুলো ব্যবহার করে শত্রুপক্ষকে ইউক্রেনের অঞ্চল থেকে বের করবে। এর চেয়ে বেশি কিছু না। এগুলোই শর্ত, তা সেটা ট্যাংক হোক, যুদ্ধবিমান হোক, আর অন্য কিছু হোক। ডেনমার্ক মোট ১৯টি যুদ্ধবিমান দেবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের হাতে ৪২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে, কিন্তু সব দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ সিদ্ধান্তকে মাইলফলক চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ শনিবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পাইলটরা প্রশিক্ষণ শুরু করেছে, তবে অন্তত ছয় মাস লাগবে। আর প্রকৌশলী ও যন্ত্র সারাইকারীদের প্রশিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে আরও বেশি লাগতে পারে।
সূত্র : রয়টার্স