প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১২:১৯ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪২ পিএম
বর্তমানে কানাডার সক্রিয় ১ হাজার ৬২টি দাবানলের এক তৃতীয়াংশই এই ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে। ছবি : সংগৃহীত
কানাডার পশ্চিমাঞ্চলের কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার
আদেশকে গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করেছে এবং একই সঙ্গে ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) প্রদেশে
গুরুতর ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বনের দাবানল আরও তীব্র হওয়ার কারণে আসন্ন কঠিন দিনগুলোর
বিষয়ে সতর্ক করেছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার রাজ্য প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল ইবি শনিবার (১৯
আগস্ট) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশে মানুষের সংখ্যা একদিন
আগের থেকে দ্বিগুণ হয়ে ৩৫ হাজার হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার
সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন আছে।
ইবি বলেছেন, দাবানলের বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ।
তার মতে, এটি আর কেবল সম্পদের ওপর হুমকি নয়। জীবন ও মৃত্যুর বিষয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রীদের
সঙ্গে দাবানল ইস্যুতে বৈঠক করেছেন এবং দাবানলে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলোকে সহায়তা করার জন্য
কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এর আগে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশ কর্তৃপক্ষ শুক্রবারই জরুরি অবস্থা
ঘোষণা করেছে এবং প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০ গুণেরও বেশি এলাকায় আগুন
ছড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।
এই দাবানলে সবচেয়ে হুমকিতে রয়েছে কেলোনা শহর। যেখানে প্রায় দেড় লাখ
লোকের বাস। শহরটির অবস্থান ভ্যাঙ্কুভার থেকে ৩০০ কিলোমিটার পূর্বে। এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ
কিছু ট্রানজিট পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার মেয়র গর্ড মিলসন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি
উদ্বেগজনক।
মিলসন বলেন, ‘(দাবানলের কারণে) এখানে এত ধোঁয়া আছে
যে কী ঘটছে তা সত্যিই মূল্যায়ন করা কঠিন।’
তবে মেয়র আশার কথাও শুনিয়ে বলেন, ‘আমরা (শনিবার)
আরও বিমান সহায়তা পেতে সক্ষম হয়েছি -যা আমাদের আগুনের সঙ্গে লড়তে সহায়তা করবে।’
যদিও মেয়র জানিয়েছেন, এরই মধ্যে কিছু অবকাঠামো দাবানলে ধ্বংস হয়ে
গেছে।
এদিকে অপর আরেক দাবানলের ঘটনায় কানাডার নর্থ-ওয়েস্টার্ন টেরিটরির
রাজধানী ইয়েলোনাইফ থেকে ২২ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক সময়সীমা
শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে আকাশ ও সড়ক পথে প্রায় সবাই শহরটি ত্যাগ করেছেন।
বর্তমানে কানাডার সক্রিয় ১ হাজার ৬২টি দাবানলের এক তৃতীয়াংশই এই ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে। সেখানে চলমান গ্রীষ্মের গরম বাতাস বনের আগুনকে আরও তীব্র করেছে।