উজবেকিস্তানে ভারতীয় সিরাপ
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১১:৩০ এএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১১:৪০ এএম
কুরাম্যাক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিং রাঘবেন্দ্র প্রতার (সামনের সারিতে বাঁ থেকে দ্বিতীয়) ২১ জন অভিযুক্তের একজন। ১৬ আগস্ট উজবেকিস্তানের একটি আদালতে শুনানির সময়। ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় সিরাপ পান করে উজবেকিস্তানে গত বছর ৬৫ শিশু মারা যায়। কারণ সিরাপগুলো নিম্নমানের ছিল। তা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে বাজারজাত করা হয়নি। বাজারজাত করার আগে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা এড়াতে উজবেকিস্তানের কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৩৩ হাজার ডলার ঘুষ।
বুধবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি সাইদকরিম আকিলভ বিবৃতিতে জানান, ভারতীয় সিরাপপানে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় মোট ২১ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এর মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা উজবেকিস্তানের। ২১ জনের মধ্যে সাতজন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, নিম্নমানের বা নকল ওষুধ বিক্রির অনুমোদন, ক্ষমতার অপব্যহার ও ঘুষগ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
উজবেকিস্তানে ভারতীয় মেরিয়ন বায়োটেকের তৈরি করা শিশুদের ওই কাশির সিরাপটি বাজারজাত করে কুরাম্যাক্স নামে একটি কোম্পানি। কুরাম্যাক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিং রাঘবেন্দ্র প্রতার ২১ জন অভিযুক্তের একজন। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ভারতীয়।
বুধবার আদালতে হাজির হয়ে সিং রাঘবেন্দ্র প্রতার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ঘুষ নয়, বরং উপহার হিসেবেই তাদের সেই অর্থ দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র : রয়টার্স