প্রতিদিনের বাংলাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২২ ১৪:৫২ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠকের সময় তিনি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেছেন। খবর বিবিসির।
সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে দেশটিতে সফর করছেন বাইডেন। এর আগে মানবাধিকার বিষয়ে সৌদি আরবকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করেন তিনি। বাইডেনের সৌদি সফর নিয়ে তাই ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যাতে বলা হয়, এই সফরের মাধ্যমে বাইডেন সৌদি সরকারকে বৈধতা দিচ্ছেন।
তবে বাইডেন বলেন, যুবরাজের সাথে বৈঠকে তিনি ২০১৮ সালে ঘটে যাওয়া খাসোগি হত্যাকাণ্ডটি যে তার নিজের এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট করেছেন। এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোতে দু’দেশই মতৈক্যে পৌঁছেছে বলেও জানান বাইডেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ২০১৮ সালের অক্টোবরে মার্কিন ভিত্তিক সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদনের জন্য যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা অভিযুক্ত করেছিল। তবে যুবরাজ বরাবরেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে গেছেন। আর সৌদি কৌঁসুলিরা ‘দুর্বৃত্ত’ সৌদি গোয়েন্দাদের এর জন্য দায়ী করেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুবরাজের সাথে বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, ‘খাশোগির হত্যাকাণ্ডের প্রতি সম্মান রেখে, আমি বিষয়টিকে বৈঠকের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেছি, সেখানে আমি স্পষ্ট করেছি আমি তখন এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কী ভেবেছিলাম এবং এখন কী ভাবি। আমি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছি, মানবাধিকার বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নীরব থাকা আমরা বা আমি কে তার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমি সবসময়ই আমার মূল্যবোধের বিষয়ে সোচ্চার থাকব।’
বাইডেন আরো বলেন, যুবরাজ দাবি করেছেন তিনি ‘ব্যক্তিগতভাবে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়’ তবে আমি ভেবেছিলাম তিনি (যুবরাজ) জড়িত।
বৈঠকের আগে বাইডেন ও যুবরাজকে ফিস্ট-বাম্পিং করতে দেখা যায়। যা মূলত দুই দেশের মধ্যকার উষ্ণ সম্পর্ককে ইঙ্গিত করে।
তবে এই ছবি দেখে খাসোগির বাগ্দত্তা হেতিজে চেঙ্গিস এর সমালোচনা করেন। এক টুইট বার্তায় খাসোগিকে কল্পনা করে তিনি লিখেন, ‘আমার হত্যার ঘটনায় আপনার প্রতিশ্রুতি করা জবাবদিহি কি এটাই? এমবিএসের (সৌদি যুবরাজ) পরবর্তী শিকারের রক্ত আপনার হাতে।’
ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ছিলেন খাসোগি। প্রভাবশালী এই মার্কিন গণমাধ্যমের প্রকাশক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফ্রেড রায়ান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে ফিস্ট-বাম্প করমর্দনের চেয়েও নিকৃষ্ট। এটা লজ্জার।’