প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩ ২০:১৬ পিএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪৯ পিএম
২০১৪ সালের আগের সীমারেখায় ফিরে যেতে চায় ইউক্রেন। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড বিসর্জন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ন্যাটোর এক শীর্ষ কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নরওয়েতে এক আলোচনা সভায় তিনি এই প্রস্তাব দেন। ন্যাটোর ওই কর্মকর্তার এমন প্রস্তাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন।
মঙ্গলবার নরওয়েতে ইউক্রেনে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, যুদ্ধের পর ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আলোচনায় ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের চিফ অব স্টাফ স্টিয়ান জেনসেন মন্তব্য করেন, যুদ্ধ শেষ করার একটি পথ হতে পারে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া। বিনিময়ে ন্যাটোর সদস্য হবে ইউক্রেন।
তবে পুরো বিষয়টি ইউক্রেনের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে জেনসেন বলেন, ’আমার প্রস্তাব একটা অপশন মাত্র। যুদ্ধ কীভাবে শেষ করা হবে, তা কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকেই ঠিক করতে হবে।’
ন্যাটো কর্মকর্তার ভূখণ্ড বিসর্জন দেওয়ার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির জ্যেষ্ঠ সহকারী মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, ’ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য ভূখণ্ড ছাড়ার প্রস্তাব হাস্যকর। এর অর্থ হলো গণতন্ত্রের পরাজয় ইচ্ছা করে বেছে নেওয়া। আন্তর্জাতিক একটা অপরাধীকে আরও সুযোগ করে দেওয়া। রাশিয়ার বর্তমান শাসকদের আন্তর্জাতিক আইন ধ্বংসের মওকা করে দেওয়া। ইউক্রেনের যুদ্ধকে আরেকটা প্রজন্মের কাঁধে চড়িয়ে দেওয়া।’
কিয়েভের প্রতিক্রিয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই একটা বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করে ন্যাটো। এতে বলা হয়, যত দিন দরকার ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেবে ন্যাটো।
রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা ১৮ মাসে প্রবেশ করেছে। ইউক্রেনের বিশাল অংশ দখলে নিয়েছে রাশিয়া। দখল করা অংশের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন প্রশাসনিক অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের করে আইন পাস করেছে রাশিয়ার পার্লামেন্ট স্টেট ডুমা। সেখানে বর্তমানে রাশিয়ার নিয়োগ করা গভর্নরেরাই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
কিন্তু জুনের শেষ থেকে অধিকৃত অঞ্চল উদ্ধারে পাল্টাহামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য পায়নি কিয়েভ। তা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের পূর্বের সীমারেখায় ফিরতে চায় তারা। ওই বছর ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় মস্কো।
সূত্র : গার্ডিয়ান, আরটি