প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৪ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৯ পিএম
সংগৃহীত ফটো
চার মাস যুদ্ধের পর সুদানের পরিস্থিতির
অবনতি হয়েছে। সেখানে লাখো মানুষের খাবার ফুরিয়ে আসছে। অনেকে মারা যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবার
অভাবে। এ ছাড়াও যুদ্ধে রাজধানী খার্তুমের অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে এবং দারফুর অঞ্চলে
জাতিগত হামলার ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এসব বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
যৌথ এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো
জানিয়েছে, তাদের ও প্রতিবেশীদের জন্য খাবার জোগাবে এমন শস্য বপনের সময় ফুরিয়ে আসছে
কৃষকদের জন্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী
ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এতে
করে দেশটিতে দেখা দেয় সহিংসতা এবং ওই অঞ্চল হয়ে পড়ে অস্থিতিশীল।
বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন ৪০ লাখেরও বেশি
মানুষ। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রয়েছেন যারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
যুদ্ধ-আক্রান্ত রাজ্যগুলোতে আক্রমণে নিহত হচ্ছেন বেসামরিকরা।
জাতিসংঘের অনুমান, ৪ হাজারেরও বেশি
মানুষ নিহত হয়েছেন সুদানের সংঘাতে। জেনেভায় হিউম্যান রাইটসের হাইকমিশনারের মুখপাত্র
এলিজাবেথ থ্রসেল বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকের মরদেহই কেউ নিতে আসেনি, শনাক্ত
করেনি এবং সমাহিত করা হয়নি।’
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের কর্মকর্তা লায়লা বেকার বলেন, ’যৌন হয়রানির অভিযোগ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খার্তুম, দারফুর ও কোর্দোফানের মতো অঞ্চলগুলোতে এখনও যে লাখো মানুষ রয়েছেন, তারা ব্যাপক লুটপাট, দীর্ঘ বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন।’
সূত্র : রয়টার্স।