প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ১০:৫০ এএম
তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই। ছবি : সংগৃহীত
তাইওয়ান কর্তৃত্ববাদী কোনো দেশের হুমকিকে ভয় পাবে না। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটি নিজের স্বাধীনতার কর্মসূচি নিজের মতো করে এগিয়ে নেবে।
প্যারাগুয়ের উদ্দেশে রবিবার (১৩ আগস্ট) তাইওয়ান ছাড়ার আগে এ মন্তব্য করেছেন দ্বীপটির ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই।
উইলিয়াম লাই প্যারাগুয়ে যাওয়ার পথে যাত্রাবিরতিতে নিউইয়র্কে থামবেন। ফেরার পথেও যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে তিনি বিরতি নেবেন। তবে এসব বিরতিতে উইলিয়াম যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উইলিয়ামের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নেওয়াকে ভালোভাবে নেয়নি চীন। তাইওয়ানের এই রাজনীতিবিদ যুক্তরাষ্ট্রে বিরতি নেওয়ার মাধ্যমে সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করছেন বলে মন্তব্য করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। সম্ভাব্য ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা। উইলিয়ামকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলেও মন্তব্য করেছে বেইজিং।
রবিবার তাইপে ত্যাগের আগে উইলিয়াম বলেন, তাইওয়ান নিরাপদ হলেই কেবল বিশ্ব নিরাপদ হবে। তাইওয়ান প্রণালি শান্তিপূর্ণ থাকলেই কেবল বিশ্ব শান্তিপূর্ণ থাকবে। কর্তৃত্ববাদীদের হুমকি যতই ভয়াবহ হোক, তাকে আমরা ভয় পাই না। আমরা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের জন্য সংগ্রাম করে যাব।
নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশে নিতেই প্যারাগুয়ে গেছেন উইলিয়াম। তাইওয়ানের সঙ্গে বিশ্বের যে ১৩টি দেশ আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখে, প্যারাগুয়ে তাদের একটি।
উইলিয়াম আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন। ৬২ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদকে বিশেষভাবে অপছন্দ করে চীন। কারণ তিনি যেকোনো মূল্যে তাইওয়ানের স্বাধীনতা চান।
অথচ তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে বেইজিং। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিকে শান্তিপূর্ণভাবে না পারলে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে মূল চীনের অংশ করা বেইজিংয়ের ঘোষিত নীতি।
গত আগস্টে দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সফর করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যক্তির তাইওয়ান সফর নিয়ে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বেইজিং। তা সত্ত্বেও পেলোসি তাইপে সফর করেন। প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের চারদিকে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীন। তাইওয়ানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
এরপর গত এপ্রিলে যাত্রাবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রে থামেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের বর্তমান স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। তখনও একই ধরনের সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং।
উইলিয়ানের যাত্রাবিরতি নিয়েও চীন মহড়া চালাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। তবে চীন এখন পর্যন্ত সে রকম কিছু ইঙ্গিত দেয়নি। অন্যদিকে উইলিয়ামের যাত্রাবিরতিকে সাধারণভাবে নিতে এবং সামরিক মহড়া না চালাতে চীনের প্রতি আনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : আল-জাজিরা