প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৫ পিএম
দক্ষিণ-পশ্চিম কৃষ্ণসাগরে এক কার্গো জাহাজকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য গুলি চালিয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ। ওই জাহাজটি ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল। গুলি চালানোর খবরটি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া গত মাসে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া এক চুক্তি থেকে বের হয়ে আসে। ইউক্রেন যাতে কৃষ্ণসাগর ব্যবহার করে নিজ কৃষিসামগ্রী বিশ্ববাজারে যেতে দিতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল ওই চুক্তিতে। কিন্তু মস্কো সে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সতর্কবার্তা জানায়, ইউক্রেনীয় পানির দিকে রওনা হওয়া সব জাহাজকে তারা সম্ভাব্য অস্ত্রবাহী জাহাজ বলে ধরে নেবে।
রাশিয়া এক বিবৃতিতে বলে, ভাসিলি বাইকভ টহল জাহাজ থেকে অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সুকুরু ওকান নৌযানে গুলিবর্ষণ করা হয়। কারণ তাদের থামতে বলা সত্ত্বেও তারা থামেনি। ওই সময় ইউক্রেনীয় বন্দর ইজমাইলের দিকে যাচ্ছিল সুকুরু ওকান।
অন্যদিকে রেফিনিটিভের রপ্তানি ডেটা বলছে, জাহাজটি উত্তরে বুলগেরিয়া উপকূলের দিকে যাচ্ছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, জোরপূর্বকভাবে নৌযানটিকে থামানোর জন্য অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে খোলা গুলি চালানো হয়। পরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী কা-২৯ হেলিকপ্টার দিয়ে জাহাজে পৌঁছায় এবং পরীক্ষা করার পর জাহাজটিকে ইজমাইল বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে দেয়।
রয়টার্স ওই জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও মন্তব্য সংগ্রহ করতে পারেনি। ইউক্রেন এবং পশ্চিম বলছে, রাশিয়ার এভাবে ইউক্রেনীয় বন্দরের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণে গম এবং সূর্যমুখী বীজ ইউক্রেন থেকে বিশ্ববাজারে যাওয়ার বিষয়টি হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইউক্রেনের চালানো সাম্প্রতিক হামলা কৃষ্ণসাগরে পণ্য পরিবহন প্রশ্নে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। রাশিয়ার তেলের ট্যাংকার এবং যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন নৌ-ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছিল।
প্রসঙ্গত রাশিয়া এবং ইউক্রেন বিশ্বের বৃহত্তম দুই কৃষিপণ্য উৎপাদক। গম, বার্লি, ভুট্টা, সরিষা, সরিষার তেল, সূর্যমুখী বীজ, সূর্যমুখী তেল– এসব পণ্যের উৎপাদকদের মধ্যে দুই দেশ অন্যতম। এ ছাড়াও সার বাজারে আধিপত্য বিস্তারী অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।
সূত্র : রয়টার্স