প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুক্রবার (১১ আগস্ট) এক ইউক্রেনীয় ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। তবে সেটি মস্কোতে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে যাচ্ছিল, তা জানা যায়নি বলেই জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার রাজধানীর লক্ষ্যে চালানো ড্রোন হামলা প্রচেষ্টার মধ্যে এটি সর্বশেষতম।
এর আগে সন্দেহজনক এক ড্রোন ফ্লাইটের কারণে রাজধানী মস্কো থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের নুকোভো এবং কালুগা বিমানবন্দর সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আবার খোলা হয়।
এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর এক স্থাপনায় কিয়েভ ক্ষমতাসীনদের মনুষ্যবিহীন আকাশ যান (ইউএভি) দিয়ে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ড্রোনটিকে জ্যাম করে দেওয়া হয়েছিল এবং পরে মস্কোর পশ্চিমের এক বনে তা ভূপাতিত করা হয়েছে।
কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। নুকোভো বিমানবন্দর জানায়, ‘বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এক কারণে তারা সব ফ্লাইট স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। মস্কো এলাকার অন্যান্য বিমানবন্দরে কিছু ফ্লাইট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বাড়তি আর কোনো তথ্য দেয়নি তারা।
পরে নুকোভো এবং কালুগা বিমানবন্দরে ফ্লাইট আবার চলাচল শুরু করে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মে মাস থেকেই রাশিয়ার অভ্যন্তরে ড্রোন হামলার ঘটনা বেড়েছে। ওই মাসে ক্রেমলিনের আকাশে ড্রোন ধ্বংস করে রাশিয়া। মে মাসের শেষের দিকে রাজধানীর বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানা হয় এবং মস্কোর ব্যবসায়িক এলাকাকেও লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালানো হয় চলতি মাসের শুরুতে।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়া জানায়, মস্কো এবং বৃহত্তম শহর ক্রিমিয়ায় আঘাত হানতে যাওয়া ১৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া ইউক্রেনের কাছ থেকে অধিভুক্ত করেছিল রাশিয়া।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেন দূর থেকে নৌযান পরিচালনা করেছে, সেগুলো নৌ ড্রোন হিসেবে পরিচিত। ওই যানের মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নভরোসিস্ক বন্দরে রুশ তেলের ট্যাংকার এবং নৌঘাঁটিতেও আঘাত হানা হয়েছে।
রাশিয়ার অঞ্চলে আক্রমণের পেছনে কে বা কারা রয়েছে, সে বিষয়ে সাধারণত কোনো মন্তব্য করে না ইউক্রেন। তবে প্রকাশ্যেই এ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা যায় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের। সূত্র : রয়টার্স