প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৬ এএম
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৮ এএম
মালি ও বুরকিনা ফাসোর সামরিক জান্তাকে টিকিয়ে রাখতে কাজ করছে ওয়াগনার। ছবি : সংগৃহীত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াসের সামরিক হুমকির প্রেক্ষিতে
নাইজারের অভ্যুত্থানকারী জেনারেলরা রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনারের সহায়তা
চেয়েছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে সোফান সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো সাংবাদিক
ওয়াসিম নাসর বলেছেন, অভ্যুত্থান নেতা জেনারেল সলিফু মোদি প্রতিবেশী দেশ মালি সফরের
সময় ওয়াগনার প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন -এ সময় তিনি ওয়াগনারের কাছে সাহায্য চান।
প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানিটি নাইজারের অনুরোধ বিবেচনা করছে বলে জানা
গেছে। এরই মধ্যে ইকোওয়াসভুক্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোতে ওয়াগনারের
বেশ প্রভাব রয়েছে। দুই দেশেরই সামরিক জান্তাকে টিকে থাকতে সহায়তা করছে রুশ এই সামরিক
গোষ্ঠী। একইভাবে নাইজারেও ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করছে সামরিক জান্তা।
নাসর বলেন, নাইজারের অভ্যুত্থানকারীদের (ওয়াগনারকে) দরকার, কারণ তারা
ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তাদের গ্যারান্টি হয়ে উঠবে।
মালির তিনটি সূত্র ও একজন ফরাসি কূটনীতিক এই বৈঠকের বিষয়ে নিশ্চিত
করেছেন। আর এই বৈঠকের বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফ্রান্স ২৪।
নাইজারের অভ্যুত্থানকারীরা এমন সময় ওয়াগনারের সহায়তা চাইল যখন দেশটির
অপসারিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইকোওয়াসের দেওয়া সময়সীমা
ঘনিয়ে এসেছে। রোববারই (৬ আগস্ট) শেষ দিন।
ইকোওয়াসভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা প্রধানরা গত শুক্রবার দেশটিতে সামরিক
হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার নাইজারে পাঠানো একটি মধ্যস্ততাকারী
দল সামরিক সরকারের নেতা জেনারেল আবদুররাহমানে চিয়ানির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি না মেলার
পরই পরিস্থিতি দ্রুত সামরিক শঙ্কার দিকে যেতে শুরু করেছে।
যদিও বেশ কয়েকটি বৈঠক নিয়ামের বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত হলেও তা ফলপ্রশু
হয়নি।
মালি সফররত নাইজারের জেনারেল সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করে
দিয়ে বলেছেন, তারা কোনোভাবেই নাইজারকে নতুন লিবিয়া হতে দেবে না।
এদিকে ইকোওয়াসের সামরিক হস্তক্ষেপ কেমন হবে, কখন শুরু হবে এবং এটি
পশ্চিমা বাহিনীর সমর্থন পাবে কীনা -তার কোনো কিছুই স্পষ্ট নয়। তবে ফ্রান্স বলেছে, তারা
ইকোওয়াসের সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন দেবে।
সূত্র : আল জাজিরা