প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:০৫ পিএম
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৪ পিএম
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় আইনসভা বুধবার (৯ আগস্ট) ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) জোটের নেতাদের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ ঘোষণা দেন। ফলে নভেম্বরের শুরুর দিকে দেশটিতে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন এমন দুই রাজনীতিবিদ রয়টার্সকে বলেন, জাতীয় আইনসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী তা আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে শাহবাজ শরিফ নিজেই বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজের সঙ্গে আজ (শুক্রবার) থেকে আলোচনা করবেন। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাঁচ বছর পূর্ণ করে আইনসভা বিলুপ্ত করা হলে তা ১২ আগস্ট ভেঙে দেওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগে আইনসভা ভেঙে দেওয়ায় শাহবাজ সরকার নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য বেশি সময় পাবেন। কারণ সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ পূর্ণ করে আইনসভা বিলুপ্ত করা হলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়। আর আগে আইনসভা বিলুপ্ত করা হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করলে চলে।
এক অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতা গ্রহণ করে শাহবাজের জোট সরকার। এরপর থেকে আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সরকার তা নানাভাবে দমন করে।
নিজে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পেছনে সেনাবাহিনীর হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। এরপর দেশটির শক্তিশালী বাহিনীটার কোপানলে পুড়তে থাকে ইমরান খান ও তার পার্টি। সম্প্রতি তার পার্টির শীর্ষ অনেক নেতা পদত্যাগ করেছেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও বেশ চাপে আছে সন্ত্রাসী হামলায় পীড়িত দেশটি। এক বছরের বেশি সময় চেষ্টার পর গত মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পায় ইসলামাবাদ। আসন্ন নির্বাচনের আগে এই ঋণ দেশটির অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স, জিওনিউজ