প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
জান্তার পক্ষে সাধারণ মানুষের শোভাযাত্রা। ৩ আগস্ট নাইজারের রাজধানী নিয়ামীতে। ছবি : সংগৃহীত
ফ্রান্সের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ভাষণে জান্তার এক মুখপাত্র এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় জান্তার মুখপাত্র বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক চুক্তি স্থগিত করা হবে। যে চুক্তির ভিত্তিতে আমাদের দেশে ফ্রান্সের প্রায় দেড় হাজার সেনা রয়েছে তাও বাতিল করা হবে।
১৯০০ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত নাইজার ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসোতেও ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল ফ্রান্স। এ দেশগুলোয় তীব্র ফ্রান্সবিরোধীতা রয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে গ্রেপ্তার করে ক্ষমতা গ্রহণ করে নাইজারের প্রেসিডেন্টসিয়াল গার্ড। বাহিনীটার প্রধান আবদুরাহমানে ছিয়ানি নিজেকে মধ্যবর্তী সরকারের প্রধান ঘোষণা করেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ আরও কিছু পশ্চিমা দেশ নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানের সমালোচনা করে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ও দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় বেঁধে দিয়েছে।
রবিবারের (৬ আগস্ট) মধ্যে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা থেকে সরে না দাঁড়ালে দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছে ইকোওয়াস। কিন্তু প্রতিবেশীরা দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মালি, লিবিয়া, বুরকিনা ফাসো, আলজেরিয়া নতুন সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
সেনেগাল ও নাইজেরিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের পক্ষে মত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাবেক সেনাপ্রধান আব্দুল সালামী আবুবকরের নেতৃত্বে নাইজারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে নাইজেরিয়া। লিবিয়া ও আলজেরিয়ায়ও দেশটি আলাদা দুটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। তারাও নাইজারে শান্তি ফেরাতে নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে।
কোনো ধরনের বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছেন জান্তাপ্রধান ছিয়ানি। বুধবার (২ আগস্ট) এক টেলিভিশন ভাষণে ছিয়ানি বলেন, ইকোয়াস যদি সামরিক হস্তক্ষেপের ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ নেয়, আল্লার সহায়তায় আমরাও সর্বশক্তি দিয়ে তা মোকাবিলা করব। সত্যিকারের স্বাধীনতার জন্য শেষবারের মতো লড়াই করবে নাইজারের জনগণ।
সূত্র : আরটি