প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:১২ পিএম
হুগলির ফুরফুরা শরিফ। ছবি : সংগৃহীত
হুগলির ফুরফুরা শরিফের উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৫৮ কোটি রুপিরও বেশি বরাদ্দ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ কথা জানান।
নগর ও পৌর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ’ফুরফুরার উন্নয়নে মোট ৫৮ কোটি ৬২ লাখ রুপি (৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে ওই অর্থ খরচ করা হবে।’
অধিবেশনে ফিরহাদ এ কথা বলার পর ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি প্রশ্ন তোলেন, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায়?
জবাবে ফিরহাদ বলেন, ’এখনও কোনও অফিস আমরা পাইনি। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই অফিস হবে। ফুরফুরা শরিফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে, সেখানেই অফিস, মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে।’
আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফুরফুরা পবিত্র স্থান। সেখানকার পিরজাদাকে ঘিরে দুই বাংলার জনগণের মধ্যে ব্যাপক আবেগ কাজ করে।
হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ওই জনপদে সারা বছর রাজনীতিকদেরও যাতায়াত লেগে থাকে। অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের ফুরফুরায় যাওয়ার পেছনে সংখ্যালঘু ভোটের হিসেব থাকে। বাম জমানা থেকেই তা চলে আসছে। একসময় হুগলির প্রয়াত সিপিএম নেতা সুনীল সরকার দলের তরফে ফুরফুরার সঙ্গে ‘সমন্বয়’ করতেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা