প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩১ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১১ পিএম
হরিয়ানার দাঙ্গায় পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ি। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের হরিয়ানায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় আরেকটু হলে প্রাণ হারাতেন
এক ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের এক এফআইআর মারফত এমনটাই জানা গেছে।
নুহ সিটি থানায় দায়ের করা এফআইআরটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৮ ধারা (দাঙ্গা),
১৪৯ ধারা (বেআইনি সমাবেশ), ৪৩৫ ধারা (ক্ষতিসাধনের উদ্দেশে আগুন), ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা)
ও অস্ত্র আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলোর অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) নুহ জেলায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আয়োজন করা ধর্মীয়
শোভাযাত্রায় সংঘাতের সময় অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) অঞ্জলি
জৈনের ভক্সওয়াগন গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় তার ৩ বছর বয়সি কন্যাও সঙ্গে ছিল।
বিচারক অঞ্জলি তার মেয়েকে নিয়ে ওষুধ কেনার জন্য নলহারের এসকেএম মেডিকেল
কলেজে গিয়েছিলেন। দুপুর ২টার দিকে যখন তারা ফিরছিলেন তখন পুরোনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে
১০০ থেকে ১৫০ জন দাঙ্গাবাজ তাদের ওপর হামলা চালায়।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) নুহ সিটি থানায় দায়ের করা এফআইআর অনুসারে,গাড়ি
থেকে নামার পরেও মা মেয়েকে জীবন বাঁচাতে ছুটতে হয়েছিল কারণ হামলাকারীরা তাদের দিকে
ঢিল ছুড়ছিল ও গুলি চালাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে ছিলেন বন্দুকধারী সিয়ারাম।
পরে তারা নুহ জেলার একটি পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের ওয়ার্কশপে আশ্রয় নেন।
সেখান থেকে এক দল আইনজীবী পরে তাদের উদ্ধার করেন। পরের দিন অঞ্জলি তার গাড়ির খোঁজ নিতে
গেলে জানতে পারেন, সেটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
হরিয়ানা রাজ্যের নুহ এলাকার এই দাঙ্গা দিল্লির কাছে গুরুগ্রামেও
পৌঁছে গেছে। মসজিদেও হামলা হয়েছে, ইমামসহ নিহত হয়েছেন ৭ জন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়নি। গুরুগ্রামের মুসলিম বাসিন্দারা বলছেন, উগ্রবাদী হিন্দুরা তাদের এলাকা ছাড়তে হুমকি দিচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি