প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৭ পিএম
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল ছবি
চীনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিভাগের দুই নেতৃস্থানীয়কে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির সরকার। এতে করে বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। কয়েক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম অপরিকল্পিতভাবে চীনের সামরিক নেতৃত্বে এত বড় পরিবর্তনের ঘটনা ঘটল।
সরিয়ে নেওয়া দুই কর্মকর্তার একজন জেনারেল লি উচাও। তিনি ‘পিপলস লিবারেশন আর্মিস রকেট ফোর্স’ নামের ওই বিভাগটির প্রধান ছিলেন। সরিয়ে নেওয়া দ্বিতীয় কর্মকর্তাও তারই ডেপুটি জেনারেল লিউ গুয়াঙবিন। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, কয়েক মাস ধরেই নিখোঁজ রয়েছেন লি উচাও এবং তার ডেপুটি। তাদের পদে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন দেশটির সাবেক উপনৌবাহিনীর প্রধান ওয়্যাং হোউবিন এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শু জিশেঙ।
এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের বৈদেশিক নীতি এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাবিষয়ক গবেষক লাইলে মরিস জানান, সর্বশেষ পরিবর্তনটি উল্লেখযোগ্য। এটি এমন একটি সময় হচ্ছে, যখন কয়েক দশক পরে নিজেদের পারমাণবিক কৌশলে অন্যতম বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে চীন।
মরিস বলেন, ‘শি পিএলএ-এর ওপর নজিরবিহীন পন্থায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তা সম্পন্ন হয়েছে। শি এখনও বিভিন্ন র্যাঙ্কের দুর্নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দলের প্রতি পুরোপুরি আনুগত্য এখনও অর্জিত হয়নি।’
বিবিসির তথ্যানুসারে, শি চীনের শীর্ষ সামরিক কমান্ড সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। গত মাসে এক বৈঠকে শি জানান, দলীয় সংগঠনের সর্বস্তরের বড় বড় ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, যেমন- সামরিক বাহিনীর ওপর দলের একচ্ছত্র নেতৃত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়গুলো।
জেনারেল লি এবং তার ডেপুটি কোথায় আছেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং। তবে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অজ্ঞাত দুই সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী শাখা ওই দুই ব্যক্তি এবং জেনারেল লির সাবেক ডেপুটি জ্যাং ঝেনঝঙের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
এদিকে পিএলএ প্রতিষ্ঠার ৯৬তম বার্ষিকীর এক দিন আগে নতুন পদে নিয়োগ পেয়েছেন ওয়্যাং ও শু। তাদের নাম বেইজিংয়ে কমিশনের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়। দুজনকেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদ থেকে পদোন্নতি দিয়ে পরিপূর্ণ জেনারেল করা হয়েছে।
মরিস বলছেন, লি-এর পতন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে সরিয়ে দেওয়া এসব ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে শি-এর নেতৃত্ব প্রশ্নে বড় মাপের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, এক মাস লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। পরে গত সপ্তাহে তার স্থলাভিষিক্ত হন ওয়্যাং ই।
সূত্র : বিবিসি