প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৩ ১১:১২ এএম
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:২২ পিএম
তাইওয়ানে সম্প্রতি সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : সংগৃহীত
তাইওয়ানের জন্য নতুন করে আরও ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। চীন দ্বীপটিকে নিজেদের অংশ মনে করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে প্যাকেজটি ঘোষণা করেন। প্যাকেজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সামগ্রী, সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানান বাইডেন। তবে, অস্ত্র বা সরঞ্জাম সরবরাহ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাতে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, অস্ত্র বা সরঞ্জাম সরবরাহের মধ্যে বহনযোগ্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নজরদারী সরঞ্জাম থাকবে।
তাইওয়ানের জন্য নতুন সামরিক প্যাকেজের সমালোচনা করেছে চীন। কারণ তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ মনে করে বেইজিং। শান্তিপূর্ণভাবে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে মূল ভূখণ্ডের অংশ করা চীনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য। তা সম্ভব না হলে বলপ্রয়োগ করে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের অংশ করবে বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে কমিউনিস্ট চীন।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা। তাইওয়ানে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছু করা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না।
তাইপের জন্য সম্প্রতি সামরিক সহায়তা বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। দ্বীপটিকে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য ৮০০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: আলজাজিরা