প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩ ২২:০২ পিএম
কম্বোডিয়ার এবারের সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে দেশটির কিছু মানুষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্বাচনে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে কম্বোডিয়ার মানুষের মত ও পছন্দকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এজন্য কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের সহায়তাও তাদের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আগামীতেও ওই সহায়তা স্থগিত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা কম্বোডিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দেশটিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিরোধী রাজনীতিকদের হুমকি দিয়েছে, হয়রানি করেছে।
এদিকে সহায়তা স্থগিত করার কথা বললেও কোন খাতে সহায়তা স্থগিত করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে বলেননি তিনি। গত রবিবার কম্বোডিয়ার নির্বাচনে বিজয়ী হয় ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)। ১২৫টি আসনের মধ্যে ১২০টি তারা জিতে নিয়েছে বলে জানায়।
এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসে ভিসা ও সহায়তা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা। তবে সহায়তার মতো ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও সুস্পষ্ট নয়। কার কার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাননি ম্যাথিউ মিলার। এ প্রসঙ্গ ম্যাথিউ মিলার জানান, নীতিগত কারণে সেসব নাম প্রকাশ করা হবে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, প্রায় চার দশক ধরে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন ৭০ বছর বয়সি হুন সেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার নেওয়া পদক্ষেপের জেরে দেশটিতে বিরোধী দল নেই বললেই চলে। নির্বাচনে একমাত্র গ্রহণযোগ্য বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন বয়কট করলে জরিমানার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে হুন সেন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তার ছেলে সেনাবাহিনীর প্রধান হুন মানেত আগামী মাস নাগাদ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল হুন মানেত, তিনি একটি আসনও জিতে নিয়েছেন। সূত্র : স্টেট ডটগভ, রয়টার্স