প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৭:৩৭ পিএম
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৩ ১৭:৫৯ পিএম
ফ্যালকন বোর্সেলিনো বিমানবন্দরের কাছেই চলে এসেছিল দাবানল। ছবি : সংগৃহীত
দাবানলের কারণে ইউরোপের দেশ ইতালির রাজ্য সিসিলির রাজধানী পালের্মো শহরের প্রধান ফ্যালকন বোর্সেলিনো বিমানবন্দর মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বিমানবন্দর এলাকার কাছাকাছি আগুন নিয়ন্ত্রণ
আনতে সক্ষম হন। সে সময় শুধু বিমানসেবা নয়, সড়ক ও রেল ট্রাফিকের কাজেও ব্যাঘাত ঘটে।
এদিন পূর্ব সিসিলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৭.৬ ডিগ্রি
সেলসিয়াস। যা দুই বছর আগে ধারণ করা ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড ইউরোপীয় তাপমাত্রার
কাছাকাছি। পুরো ইতালিতেই উচ্চ তাপমাত্রায় নাভিশ্বাস ফেলছে বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ
ও পানি নিয়েও সংকট দেখা দিয়েছে কিছু কিছু অঞ্চলে।
পালের্মো ও ক্যাতানিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, চরম তাপমাত্রার
কারণে সেখানে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহে প্রায়ই ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। কারণ গরমে এই দুটি
জিনিসের প্রবল চাহিদা দেখা দিয়েছে।
ইউরোপের চলমান তাপপ্রবাহ দক্ষিণ ইউরোপে দাবানলের ঘটনা ও বাসিন্দাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইতালি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ১৬টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
শুধু দাবদাহই নয়। ঝড়েও কাহিল দেশটি। দুটি পৃথক ঘটনায় ঝড়ের কারণে
মারা গেছেন দুজন। সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় মনজা প্রদেশে ঝড়ের কারণে পড়া একটি গাছে পিষ্ট
হয়ে মারা গেছেন এক নারী। মঙ্গলবার ব্রেসিয়া শহরের কাছে ঝড়ের কারণে একটি স্কাউট ক্যাম্পের
তাঁবুতে গাছ পড়লে মারা যায় ১৬ বছরের কিশোরী। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শিবিরে থাকা অন্যান্য
ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি ইতালি।
গবেষকরা বলছেন, শুধু দাবদাহই নয়, দেশটিতে এ কারণে বন্যা ও ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও
বেড়েছে। গত মে মাসেও দেশটিতে মারাত্মক বন্যা হয়েছিল।
এদিকে শুধু ইতালিই নয়, দাবানল ও দাবদাহে কাহিল ইউরোপের আরেক দেশ গ্রিস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস তো বলেই দিয়েছেন, তার দেশ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছে।
এরই মধ্যে দাবানলের কারণে দেশটির রোডস ও করফু দ্বীপপুঞ্জের হাজারও বাসিন্দা ও পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা