প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫৫ এএম
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩ ০৯:০০ এএম
যৌথ সামরিক মহড়ায় বেলারুশ ও রাশিয়ার সেনারা। ছবি : সংগৃহীত
মিত্র দেশ বেলারুশের বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের যেকোনো আগ্রাসন রাশিয়ার
ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে। শুক্রবার (২১ জুলাই) ক্রেমলিনে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে
এমনটা বলেই সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পরে এই বক্তব্য রাশিয়ার
টেলিভিশনগুলোতেও প্রচারিত হয়।
বেলারুশকে রক্ষায় হাতে থাকা সকল উপায় ব্যবহার করবে রাশিয়া, এমনটাই
বলেছেন পুতিন। তার মতে, পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশে দখলদারিত্ব চালাতে চাইছে ওয়ারশ। বিশেষ
করে পশ্চিম ইউক্রেনে অপারেশনের জন্য পোলিশ ও লিথুয়ানীয় ইউনিট ব্যবহার করার পরিকল্পনা
চলছে, যা একসময় পোল্যান্ডেরই অংশ ছিল।
ক্রেমলিনের মতে, পোল্যান্ডের এই দখলদারী মনোভাবের কারণেই প্রতিবেশী দেশ হিসেবে উদ্বিগ্ন বেলারুশ। তবে পুতিন কোনো প্রমাণ না দেখালেও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘এটা সবার জানা যে তারা (পোল্যান্ড) বেলারুশিয়ান ভূমির স্বপ্ন দেখে। বেলারুশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানোর অর্থ হবে রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।’
একই সঙ্গে পুতিন এও বলেন যে ইউক্রেন আর পোল্যান্ডের সঙ্গে ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোনে সম্পর্ক ভালো নয়। ইউক্রেনীয়দের পোলিশদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই। আবার এ বক্তব্যে পোল্যান্ডকেও রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ সাবেক সোভিয়েত নেতা স্টালিনের আমলেই বেশ বড় একটি অঞ্চল পোল্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। যা এখনও পোল্যান্ডের অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে।
একই সময়ে তিনি সাবেক সোভিয়েতভুক্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তারে পোল্যান্ডের
আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্খার কথাও উল্লেখ করেন।
এক সময়ের সাবেক সোভিয়েতভুক্ত পোল্যান্ড বর্তমানে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে দেশটি কিয়েভের কট্টর মিত্র। তবে দেশটি বরাবরই ইউক্রেন বা বেলারুশ কেন্দ্রিক কোনো আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্খার বিষয় অস্বীকার করে থাকে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের এসব মন্তব্যের জেরে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয়
মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা পিএপিকে দেশটির উপমন্ত্রী ও বিশেষ সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী
স্ট্যানিস্লো জারিন এটিকে পোল্যান্ডের সম্পর্কে ক্রেমলিনের মিথ্যার পুনরাবৃত্তি বলে
উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি রাশিয়ায় প্রিগোজিনের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তার বাহিনী
ওয়াগনারের সদস্যরা বেলারুশে আসতে শুরু করে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোও জানিয়েছেন,
তাদের বাহিনী ওয়াগনারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেবে। এমন পরিস্থিতিতে পোল্যান্ডের পূর্বে
নিরাপত্তা জোরদার ও নতুন করে শক্তি বৃদ্ধি করেছে ওয়ারশ। যদিও ওয়ারশ বলছে, তাদের এসব
পদক্ষেপ রক্ষণাত্মক।
সূত্র : আল জাজিরা