প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩ ১৬:১৭ পিএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এক মাস আগে মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ওই বিদ্রোহ পুতিনের শাসনব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা প্রকাশ করেছে বলে দাবি করেছেন সিআইএপ্রধান উইলিয়াম বার্নস।
তিনি অ্যাস্পেন সিকিউরিটি ফোরামকে বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সিআইএপ্রধান বলেন, ‘আমরা যা দেখছি, তা খুবই জটিল খেলা।’
বার্নস আরও বলেন, ‘পুতিন সম্ভবত একটু সময় নিচ্ছেন। কারণ তিনি ওয়াগনার নেতাকে সর্বোত্তম সময় মোক্ষম উপায়ে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আফ্রিকা, লিবিয়া ও সিরিয়ার মতো জায়গায় রাশিয়ার নেতৃত্বের জন্য ওয়াগনারের এখনও মূল্য রয়েছে। তাই সম্ভবত পুতিন গ্রুপটিকে প্রিগোজিনের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করবেন।’
সিআইএপ্রধান বলেছেন, ‘পুতিন প্রতিশোধের সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুতিন এমন একজন মানুষ, যিনি সাধারণত মনে করেন সবচেয়ে ভালো সময়ে প্রতিশোধ নেওয়া উচিত।’
এই মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা ধারণা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে ওয়াগনারপ্রধানকে বিষ প্রয়োগ করা হতে পারে এমন একটি ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি যদি প্রিগোজিন হতাম তবে আমি কী খাচ্ছি সে সম্পর্কে আমি সতর্ক থাকতাম। আমি আমার মেন্যুতে আমার নজর রাখতাম।’
সিআইএ পরিচালক বাইডেনের ওই লাইনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ‘আমি যদি প্রিগোজিন হতাম, তবে আমি আমার খাবারের স্বাদ যাচাইকারীকে বরখাস্ত করতাম না।’
তিনি আরও বলেন, তার গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রিগোজিনের বিদ্রোহের আগাম তথ্য ছিল।
সিআইএপ্রধান বলেন, ‘সিনিয়র রুশ সেনা জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনও ওয়াগনার বিদ্রোহ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন। তাই তারও বর্তমানে চলাচলের স্বাধীনতা নেই।’
সিআইএপ্রধান আরও বলেন, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রাশিয়ার নেতা এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে একটি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছিলেন, যিনি তার খাদ্য সরবরাহকারী ছিলেন।’
প্রিগোজিনকে প্রায়শই ‘পুতিনের শেফ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
কারণ তিনি ওয়াগনার গ্রুপ প্রতিষ্ঠার আগে পুতিন ও সামরিক বাহিনীর জন্য খাবার সরবরাহ করতেন।
সূত্র : বিবিসি