প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩ ১৫:০৭ পিএম
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩২ পিএম
শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়ার বেরিয়ে যাওয়া বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। ছবি : সংগৃহীত
কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত এশিয়ায় খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা। ইউক্রেন থেকে আমদানি হ্রাস ও অন্যান্য দেশ থেকে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে আপাতত নিঃশব্দে খাদ্যমূল্যের প্রভাব পরবে এশিয়ায়।
আলজাজিরা শুক্রবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তির অধীনে শস্য ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর চালানের ৪৬ শতাংশ পায় এশিয়া। অপরদিকে, পশ্চিম ইউরোপ ও আফ্রিকা যথাক্রমে চালানের ৪০ শতাংশ ও ১২ শতাংশ পেয়ে থাকে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান জানায়, রপ্তানি পণ্যের প্রায় এক-চতুর্থাংশ গ্রহণ করে চীন। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
চীনের আমদানির মধ্যে রয়েছে ৫.৬ মিলিয়ন টন ভুট্টা, ১.৮ মিলিয়ন টন সূর্যমুখী বীজের খাবার, ৩ লাখ ৭০ হাজার টন সূর্যমুখী তেল ও ৩ লাখ ৪০ হাজার টন বার্লি।
কিয়েভের সেন্টার ফর গ্লোবাল স্টাডিজ স্ট্র্যাটেজি এক্সএক্সআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ব্যুরোর প্রধান ওকসানা লেসনিয়াক বলেন, ‘চীনের আমদানি করা ৩০ শতাংশ ভুট্টা ইউক্রেন থেকে আসে।’
কিয়েভ স্কুল অফ ইকোনমিক্সের খাদ্য ও ভূমি ব্যবহার গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক পাভলো মার্টিশেভ বলেন, ‘শস্যচুক্তির সমাপ্তির কারণে শস্য ও তৈলবীজের পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। এই অবস্থায় এশিয়ায় খাদ্যের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। এর ফলে অঞ্চলটির খাদ্য নিরাপত্তার উপর প্রভাব পরবে। তবে এশিয়ান দেশগুলো আর্থিকভাবে সক্ষম হওয়ায় খাদ্যের বড় ধরনের ঘাটতি হবে না।’
কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তির সুবিধাভোগী ও রাশিয়ার মিত্র হওয়া সত্ত্বেও চীন রাশিয়ার চুক্তি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেনি।
এই বিষয়ে ইউক্রেনের জাতীয় দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তদারকি কমিটির প্রধান মার্ক স্যাভচুক বলেন, ‘চীনের কর্তৃত্বকে খর্ব করছে রাশিয়া। চীনকে এই শস্যচুক্তিতে একটি বড় ও প্রভাবশালী দেশ হিসাবে স্থান দেওয়া উচিত ছিল।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সতর্ক করে বলেন, ‘রাশিয়ার সিদ্ধান্তটি বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকায় লাখ লাখ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে।’
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চরমভাবে ব্যাহত হয়। রপ্তানি সহজতর করে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট এড়ানোর জন্য জাতিসংঘ ও তুরস্ক গত বছরের জুলাই মাসে শস্যচুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল।
সূত্র: আলজাজিরা