প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩ ০৮:৪৯ এএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩ ১০:৪৮ এএম
কৃষ্ণসাগরে ২০১৪ সালের রুশ নৌবাহিনীর সামরিক মহড়া। ছবি : সংগৃহীত
গত জুলাইয়ে তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্যচুক্তি থেকে সরে
এসেছে রাশিয়া। এর পরই দেশটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর বন্দরগুলোয়
আসা যেকোনো জাহাজকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (১৯ জুলাই) টেলিগ্রাম মেসেজিং
অ্যাপে বলেছে, ইউক্রেনে আসা সব জাহাজকে কিয়েভের পক্ষে সম্ভাব্য সামরিক মালামাল বহনকারী
হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং এ ধরনের জাহাজের পতাকাভুক্ত দেশগুলোকে সংঘাতে ইউক্রেনের
পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এরই মধ্যে বুধবার মস্কো সময় রাত ৯টায় নতুন এ অবস্থান বাস্তবায়ন
শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোয় আসা বিদেশি জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে প্রকৃত অর্থে
কী ব্যবস্থা নেবে রাশিয়া, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
যদিও এটিকে হামলার ইঙ্গিত হিসেবেই বিবেচনা করা যায়।
শুধু ইউক্রেনীয় জলসীমাই নয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কৃষ্ণসাগরের
আন্তর্জাতিক জলসীমার দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিমের কিছু অংশকে জাহাজ চলাচলের জন্য
সাময়িকভাবে অনিরাপদ ঘোষণা করেছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ হুঁশিয়ারি এমন সময় এলো যখন কিয়েভের পক্ষ থেকে
বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে খাদ্য চালানের রুশ অনুমতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা
শস্য রপ্তানি চালিয়ে যেতে প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া হয়ে একটি অস্থায়ী শিপিং রুট চালু
করবে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের ওদেসা বন্দরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের
মুখপাত্র অ্যাডাম হজ দাবি করেছেন, ইউক্রেনের বন্দরগুলো কেন্দ্র করে অতিরিক্ত সামুদ্রিক
মাইন স্থাপন করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হলে দেশটির শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
পরে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে কৃষ্ণসাগর
দিয়ে নির্বিঘ্নে শস্য রপ্তানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
গত সোমবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের চুক্তি নবায়ন করার কথা। তবে রাশিয়া নিজেদের শর্তপূরণ না হওয়ার অভিযোগ তুলে চুক্তি থেকে সরে আসে।
সূত্র : আলজাজিরা