প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩ ২০:২৪ পিএম
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩ ২০:৪১ পিএম
অধিকাংশের বাড়িতে এসি না থাকায় ইউরোপজুড়ে মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে ভরাট লেকগুলো। ছবি : সংগৃহীত
জলবায়ু পরিবর্তনে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। দক্ষিণ ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরের
বেশিরভাগ অংশকে গ্রাস করেছে তীব্র গরম। দাবদাহের পাশাপাশি দাবানলের কারণেও সৃষ্ট গরমে
সেখানকার মানুষের জনজীবন অতিষ্ট। অথচ এই গরম থেকে বাঁচতে ঘরেও রেহাই পাচ্ছেন না এসব
এলাকার বাসিন্দারা। কারণ অধিকাংশের বাড়িতেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি) নেই। ফলে
বাসিন্দাদের ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে পাবলিক পুলগুলোতে।
এসি না থাকায় বাড়িতেই কীভাবে ঠান্ডা থাকতে হবে, তার প্রচারণা চালাচ্ছে
সেখানকার গণমাধ্যমসহ স্থানীয় প্রশাসন। কারণ জাতিসংঘের অধীন বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)
বলছে, চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ ইউরোপের তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। ইতালি,
গ্রিস ও স্পেনের অনেক এলাকার তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলেও সেখানকার
অনেক বাসিন্দারই ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি) নেই।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) ২০১৮ সালের এক রিপোর্ট অনুসারে, পুরো ইউরোপের কেবল ১০ শতাংশের কম পরিবারের কাছে এসি রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এসি ইউনিটের মাত্র ৬ শতাংশ রয়েছে পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের প্রায় ৯০ শতাংশ পরিবারের কাছে এসি রয়েছে। আইএ বলছে, খুব অল্পসংখ্যক দেশে এসির মোট ব্যবহারের সিংহভাগ হয়ে থাকে।
শুধু চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানেই রয়েছে বিশ্বে ব্যবহৃত এসির মোট
দুই-তৃতীয়াংশ। ২০২১ সালে আইএইএর এক পরিসংখ্যানে
দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটগুলোর ২০ শতাংশ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র,
৪০ শতাংশ চীন ও ১১ শতাংশ ব্যবহার করে জাপান। বাকি ২৯ শতাংশ ব্যবহার করে বিশ্বের বাকি
দেশগুলো।
তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ইউরোপেও যে তীব্র গরম দেখা দিয়েছে, তার
কারণে সেখানকার মানুষেরও এসি কেনার প্রবণতা বাড়ছে। আইএ বলছে, ইতালি, স্পেন, গ্রিস ও
দক্ষিণ ফ্রান্সে বাসিন্দাদের এসি কেনার প্রবণতা বাড়ছে। যত গরম পড়বে, ইউরোপীয়দের এসি কেনার প্রবণতা বাড়বে। কিন্তু মোটা দাগে এটি বিশ্বের জন্য আরও শঙ্কার জন্ম দেবে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বিস্তার হয়তো দেশগুলোর বাসিন্দাদের
গরম আবহাওয়ায় শীতল থাকতে সাহায্য করে, অথচ একই সঙ্গে এটি শক্তির ব্যবহার ও কার্বন নিঃসরণ
বাড়ায়। এই দুই ইস্যুই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।
সূত্র : সিএনএন