প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৬:৪২ পিএম
গরু দিয়ে জমি চাষ করছেন এক কৃষক। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুতি দ্বীপ থেকে তোলা। ছবি: সংগৃহীত
সুদানে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। সেনাবাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) চলমান দ্বন্দ্বে আফ্রিকার গরিব দেশটির দুরবস্থা আরও বেড়েছে। উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় দেশটির কয়েকটি রাজ্যে কৃষকরা পর্যাপ্ত চাষ করতে পারছেন না।
চলমান সংকটের কারণে সুদানে কৃষকদের জোয়ার, বাজরা ও ভুট্টার মতো ফসল রোপণে বিলম্ব হচ্ছে। এটা দেশটির খাদ্যশস্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে।
যুদ্ধের সঙ্গে সুদানের কৃষকদের সংকট সরাসরি জড়িত নয়। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালে দেশটির বিভিন্ন অংশে ব্যাংক লুটের ঘটনা ঘটেছে। ফলে কৃষকদের ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। যথাসময়ে বা পর্যাপ্ত ঋণ না পাওয়ায় সার, বীজ ও জ্বালানির মতো উৎপাদন উপকরণ নিয়ে সংকটে পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষক, বিশেষজ্ঞ ও সহায়তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্সের একটা বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
চারজন কৃষক জানান, চলতি মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের আগে তারা শস্য রোপণ করতে পারবেন না।
জাতিসংঘ জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুদানে খাদ্যসংকট আরও তীব্র হতে পারে। দেশটিতে সংঘাত শুরু হয় গত এপ্রিলে। তখন দেশটির ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৬২ লাখ। আগামী আগস্টে তা বেড়ে এক কোটি ৯১ লাখে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুদানে আনুষ্ঠানিকভাবে শিগগির দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা উচিত। কারণ সেখানকার কৃষকরা নিজেদের দুর্ভিক্ষের হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন।
সূত্র : রয়টার্স