প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৩ ১১:১৭ এএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩ ১১:৩৬ এএম
রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে ওয়াগনারের হস্তান্তর করা অস্ত্র অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
সামরিক হার্ডওয়্যার এবং অস্ত্রগুলো রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে হস্তান্তর শুরু করেছে মস্কোর ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (১২ জুলাই) ঘোষণা করেছে, তারা ট্যাংক, মোবাইল রকেট লঞ্চার, বিমানবিধ্বংসী সিস্টেমসহ ২ হাজারের বেশি সামরিক হার্ডওয়্যার বুঝে পেয়েছে।
মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ২ হাজার ৫০০ টনের বেশি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ এবং প্রায় ২০ হাজার ছোট অস্ত্রও দেওয়া হয়েছে।
অস্ত্র জমা দেওয়ার এ প্রক্রিয়া ওয়াগনারের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন দ্বারা উত্থাপিত হুমকি প্রশমিত করার জন্য রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করেছে।
এদিকে সোমবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রিগোজিন এবং তার ৩৪ জন শীর্ষ কর্মকর্তা বিদ্রোহের পাঁচ দিন পর ২৯ জুন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ওয়াগনারের কমান্ডাররা পুতিনের প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
পুতিন বলেছেন, ওয়াগনার সেনাদের হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে, না হয় বেলারুশে চলে যেতে হবে কিংবা চাকরি থেকে অবসর নিতে হবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অজ্ঞাত স্থানে ওয়াগনারের জমা দেওয়া সরঞ্জামগুলোর ছবি প্রকাশ করে বলেছে, ‘ওয়াগনারের জমা দেওয়া অস্ত্রগুলো এমন অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে, যেখানে সরঞ্জামগুলো রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামত করা যেতে পারে।
ইউক্রেনের আক্রমণে মূল ভূমিকা পালনকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াগনার বিদ্রোহের সময় রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের পতন ঘটাতে চেয়েছিল।
পুতিন ওই বিদ্রোহকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে নিন্দা করেছিলেন এবং যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের জন্য কঠোর শাস্তির হুমকি দিয়েছিলেন।
তবে চুক্তির অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টা পর প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়াগনারপ্রধান স্পষ্টতই এখনও আর্থিক অন্যায় বা অন্যান্য অভিযোগের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন।
ওয়াগনারের বিদ্রোহ দুই দশকের বেশি ক্ষমতায় থাকা পুতিনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
তবে ওই বিদ্রোহটি পুতিনকে লক্ষ করে ছিল না, বরং ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে লক্ষ করে। দুজনই তাদের পদে বহাল আছেন।
একই সময়ে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়ান বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের ভাগ্য ঘিরেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ প্রিগোজিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
রাশিয়ান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির প্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আন্দ্রেই কার্তাপোলভ বুধবার বলেছেন, ‘সুরোভিকিন বিশ্রাম নিচ্ছেন।’
সূত্র : আলজাজিরা