প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩ ১৫:৪২ পিএম
শিল্পীর চিন্তায় জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। ছবি : সংগৃহীত
দূরবর্তী মহাজগতের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করার এক বছর পর বুধবার নাসা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে একটি নতুন চিত্র উন্মোচন করতে যাচ্ছে।
জেমস ওয়েব কক্ষপথের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি পৃথিবী থেকে ১৬ লাখ মাইল দূরে দ্বিতীয় ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (এল-২) নামে একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।
এটির ধারণ করা প্রথম পূর্ণ রঙিন ছবি ২০২২ সালের ১১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উন্মোচন করেন।
এটি ১,৩০০ কোটি বছর আগের আদি মহাবিশ্বের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার দৃশ্য।
পরবর্তী ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্যারিনা নেবুলা নামক মহাকাশের একটি অঞ্চলে ‘পর্বত’ এবং ‘উপত্যকা’ সদৃশ্য নতুন তারকা-গঠনকারী অঞ্চলের ছবি, যাকে কসমিক ক্লিফস বা জায়ান্ট গ্যাসীয় মন্ডল বলা হয় এবং একটি মহাজাগতিক বৃত্তে আবদ্ধ পাঁচটি ছায়াপথের একটি দল, যাকে বলা হয় স্তেফানের কুইন্টেট। পেগাসাস নক্ষত্রমন্ডলে এই গ্যালাক্সি জোটের অবস্থান। এটি প্রথম ১৮৭৭ সালে এদোয়ার্দ স্তেফান আবিস্কার করেন।
বুধবার (১২ জুলাই) প্রকাশিতব্য ছবির প্রকৃতি সম্পর্কে নাসা নীরব রয়েছে, যা নাসার ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।
ওয়েব টেলিস্কোপে ২১ ফুটেরও বেশি পরিমাপের একটি প্রাইমারি মিরর রয়েছে, যা ১৮টি ষড়ভুজাকার সোনার প্রলেপযুক্ত অংশ একত্রিত করে তৈরি হরা হয়েছে এবং সেইসাথে একটি টেনিস কোর্টের আকারের এই টেলিস্কোপটি পাঁচ স্তরের সানশিল্ড দিয়ে তৈরি।
এর পূর্বসূরি হাবলের বিপরীতে, এটি প্রাথমিকভাবে ইনফ্রারেড বর্ণালীতে কাজ করে। এটিকে সময়ের শুরুতে আরও কাছাকাছি ফিরে তাকানোর সুযোগ দেয় এবং ধূলিকণার মেঘগুলোকে আরও ভালভাবে প্রবেশ করতে দেয় যেখানে তারা এবং গ্রহের সিস্টেমগুলো এখনো তৈরি হচ্ছে।
এটির মূল আবিষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে বিগ ব্যাং-এর কয়েকশ’ মিলিয়ন বছর পরে গঠিত প্রথমদিকের কিছু ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড খুঁজে পাওয়া এবং আমাদের সৌর জগতের বৃহস্পতি গ্রহের অত্যাশ্চর্য নতুন দৃশ্য।
জ্যোতির্বিদ্যার একটি নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ বছরের দীর্ঘ মিশনের জন্য ওয়েবের যথেষ্ট জ্বালানী রয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস