প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৪:৪১ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩ ১৪:৫১ পিএম
লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে জো বাইডেন। ৯ জুলাই। ছবি: সংগৃহীত
গুচ্ছ বোমা বিতর্কের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পা রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ঋষির সঙ্গে বৈঠকে অন্য বিষয়ের মধ্যে গুচ্ছ বোমা ও ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বাইডেন। তাছাড়া সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে তুরস্ককে কীভাবে রাজি করা যায় তা নিয়েও বাইডেন ঋষির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার (৯ জুলাই) রাতে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে লন্ডনের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে পৌঁছান বাইডেন। সোমবার সারা দিন তিনি যুক্তরাজ্যে থাকবেন। পরের দিন মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াস ন্যাটোর দুই দিন ব্যাপী সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।
এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যোগ দেবে নতুন সদস্য ফিনল্যান্ড। এবার সুইডেনও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তুরস্কের অসম্মতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সুইডেনকে শিগগির সদস্য করতে এবারের সম্মেলনে তুরস্কেরও ওপর সর্বাত্মকভাবে চাপ তৈরি করেবেন বাইডেন।
রবিবার (৯ জুলাই) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। আলাপে বাইডেন এরদোয়ানকে বলেন, আমরা সুইডেনকে শিগগির ন্যাটোতে চাই।
ন্যাটোর সম্মেলনের এক ফাঁকে বাইডেন ও এরদোয়ান দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
বুধবার ন্যাটোর বৈঠক শেষে দেশের ফেরার আগে ফিনল্যান্ডে যাত্রাবিরতি করবেন বাইডেনে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও নর্ডিক অঞ্চলের নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি।
বাইডেন এমন এক সময়ে ইউরোপ সফরে গেলেন যখন ইউক্রেনে গুচ্ছ বোমা পাঠানোর ঘোষণা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে তার প্রশাসন। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও সিদ্ধান্তটির সমালোচনা করছে।
যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের গুচ্ছ বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ, এ বোমা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। তারা এটার ব্যবহার অনুমোদন করে না।
গুচ্ছ বোমা এমন এক ধরনের বোমা, যার মধ্যে অনেকগুলো ছোট বোমা থাকে। এটা যখন নিক্ষেপ করা হয়, অনেক সময় ছোট বোমাগুলোর কিছু বিস্ফোরিত হয় না। অবিস্ফোরিত অবস্থায় তা দীর্ঘদিন থাকতে পারে। তাই এটা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আলজাজিরা জানায়, ২০০৮ সালে ১২৩টার বেশি দেশ গুচ্ছ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধবিষয়ক এক চুক্তিতে সই করে। চুক্তিটি ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিউনিশনস হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়াসহ আরও কিছু দেশ চুক্তিটিতে সই করেনি। তবে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের বেশ কিছু মিত্র, যেমন ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধ চুক্তিতে সই করে।
২০০৯ সালে গুচ্ছ বোমা রপ্তানি নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নিজেদের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে দেশটির প্রেসিডেন্ট বিশেষ বিবেচনায় তা রপ্তানি করার অনুমতি দিতে পারেন।
সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা