প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৭ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩ ১১:৪১ এএম
নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য কাঠামান্ডু ও ঢাকার কর্মকর্তারা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করতে সম্মত হয়েছেন। নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের (এনইএ) এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য।
এখনও দুই পক্ষ বিদ্যুতের ট্যারিফ চার্জ নির্ধারণ করেনি। তবে কতদিনের জন্য চুক্তি করা হচ্ছে, তা ঠিক করা হয়েছে। কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদন বলছে, এটি বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদি বাজারের বিষয়টি নিশ্চিত করছে।
কাঠমান্ডু পোস্টকে এনইএ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুল মান ঘিসিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ বিক্রি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছি।’
এনইএ’র বিদ্যুৎ বাণিজ্য পরিচালক প্রবাল অধিকারী জানান, বাংলাদেশ এর আগে নেপালের প্রস্তাবে সায় দিয়ে জানিয়েছিল তারা নবায়নের সুযোগসহ পাঁচ বছরের চুক্তি করতে আগ্রহী। তবে ঘিসিং বলছেন, বাংলাদেশ অবশেষে ২৫ বছরের চুক্তিতে রাজি হয়েছে। তবে এখনও সে চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। তিনি বলেন, ‘ট্যারিফ বাদে আমরা অন্য সব বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।’
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, বিদ্যুৎ ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সরবরাহ হবে। এজন্য নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। ওই চুক্তি স্বাক্ষরের পর গোটা বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
নেপালের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ আগে ট্যারিফ বাদে অন্য সব ইসুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে চেয়েছিল। এ বিষয়টির কারিগরি এবং বাণিজ্যিক দিকও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
ট্যারিফ প্রশ্নে এনইএ আলোচনার জন্য নিজেদের দ্বার খুলে রেখেছে বলে উল্লেখ করেছে কাঠমন্ডু পোস্ট। ঘিসিং বলেছেন, ‘আমরা সদিচ্ছাস্বরূপ ভালো ট্যারিফের প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি, যেহেতু এটি সরকার থেকে সরকারের (জিটুজি) চুক্তি হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান মূল্যকে উল্লেখ করা যেতে পারে, তবে আমাদের এখনও হার ঠিক করা বাকি।’
এদিকে অধিকারী বলেছেন, ট্রান্সমিশন চার্জ এবং সার্ভিস ফি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরাসরি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন)-কে মূল্য পরিশোধ করবে। কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, ভারতের ব্যবসাগুলো বর্তমানে বিদ্যুৎ ক্রেতাদের কাছ থেকে যে মূল্য রাখছে, তার সমপরিমাণ হতে পারে ট্রান্সমিশন চার্জ।
অধিকারী জানান, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের হয়তো ভারতের প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টার জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। সার্ভিস চার্জ ৪ থেকে ৭ পয়সা (ভারতীয় মুদ্রা) হতে পারে।
ভারতের বহিঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্যের সংযোগ স্থাপনকারী সংস্থা এনভিভিএন এসব ফি সংগ্রহ করবে বলেও উল্লেখ করেন অধিকারী। কাঠমন্ডু পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহসংক্রান্ত চুক্তির একটি অংশ হবে এনভিভিএন।
মধ্য মে মাসে বাংলাদেশে সচিব পর্যায়ে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক নেপাল ও বাংলাদেশ এনইএ, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের এনভিভিএনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছিল।
সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট